হত্যা মামলা
শেরপুরে সেনাসদস্য হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
শেরপুরে সেনাসদস্য ওয়াসিম আকরাম হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. রঞ্জু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ৭টার দিকে জেলার মেলান্দহ উপজেলার আমডাঙ্গা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রঞ্জু শেরপুরের চরশেরপুর নিজপাড়া গ্রামের মো. আব্দুস সালামের ছেলে।
আরও পড়ুন: 'পুষ্পা-২'র প্রদর্শনীতে নারীর মৃত্যু, আল্লু অর্জুন গ্রেপ্তার
আজ র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের গণমাধ্যম কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হাই চৌধুরী সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
মো. রঞ্জুকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জোবায়দুল আলম বলেন, মো. রঞ্জু মিয়াকে আদালতে তোলার প্রক্রিয়া চলছে।
১ সপ্তাহ আগে
কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়া শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আশরাফুল ইসলাম নামে একজনকে হত্যার মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান মিন্টু ফকিরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মিন্টু ফকির কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান।
জানা গেছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ৫ আগস্ট দুপুর দেড়টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের বকচত্বরের উত্তর দিকে রউফ চৌধুরীর মার্কেটের সামনে আশরাফুল ইসলামকে তলপেটে, বাম পায়ের উরুসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ২০ আগস্ট নিহত আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী লাবণী আক্তার ইতি কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা-কর্মীসহ মোট ২৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে।
নিহত আশরাফুল ইসলাম কুষ্টিয়া সদর উপজেলার শালদহ গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে। তিনি রঙ মিস্ত্রির কাজ করতেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান শিহাব বলেন, ‘আন্দোলকারী আশরাফুল ইসলামকে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন মিজানুর রহমান। বটতৈল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি মামলার পর থেকেই দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। তাকে আদালতের মাধ্যমে কুষ্টিয়া কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত।
১ সপ্তাহ আগে
আবারও রিমান্ডে পলক ও শাহ কামাল
হত্যা মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের আরও তিন দিন এবং যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় সাবেক সচিব শাহ কামালের দুই দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহর আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ হাদীউজ্জামান পলকের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
এদিকে শাহ কামালকে গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মতিঝিল জোনাল টিমের উপপরিদর্শক (এসআই) ফেরদৌস আলম।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। পলকের পক্ষে তার আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে আ.লীগ নেতা মিন্টু ও বাবু
এ সময় আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি বলেন, ‘তাকে ৪৬ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ৩১ দিন রিমান্ডে ছিলেন। গত ৯ নভেম্বর যাত্রাবাড়ী থানার এক মামলায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে দেখা যায়, তিনি কোমরে ব্যথায় ভুগছেন। এ অবস্থায় তিনি ভ্রমণ করতে পারবেন না। লো কমোড ব্যবহার করতে পারবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বার বার তাকে রিমান্ডে নেওয়া হলেও কোনো তথ্য উদঘাটন হচ্ছে না। শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে তার রিমান্ড বাতিলের আবেদন করছি। প্রয়োজনে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।’
পরে ওমর ফারুক বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা একটা লিস্ট পেয়েছি। সেখানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ১ হাজার ৫৮১ জনকে হত্যা করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তো ১ হাজার ৫৮১টি মামলা হওয়া উচিত। আর কোর্টে আসলে অসুস্থতার শেষ নাই। কোর্টে আসার মতো পরিস্থিতি থাকে না। বাইরে থাকলে হত্যাকাণ্ড চালাতে দ্বিধাবোধ করেন না।’
পরে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এরপর শাহ কামালকে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানি হয়। প্রথমে আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হয়। রাষ্ট্রপক্ষ সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট ঢাকার চানখারপুলে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান মুন্সীগঞ্জের ছাত্রদল নেতা মানিক মিয়া।
আরও পড়ুন: হাসনাত-সারজিসের গাড়িবহরে ধাক্কা: গ্রেপ্তার দুজন রিমান্ডে
১ সপ্তাহ আগে
হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে আ.লীগ নেতা মিন্টু ও বাবু
পৃথক দুটি হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুল করিম মিন্টু ও কাজী কামাল আহমেদ বাবুকে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ঝিনাইদহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আমলী আদালতের বিচারক রোমানা আফরোজ এ আবেদন মঞ্জুর করেন।
সাইদুল করিম মিন্টু ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর পৌরসভার সাবেক মেয়র এবং কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবু আওয়ামী লীগের ত্রাণ সমাজকল্যাণ সম্পাদক।
আরও পড়ুন: দুই দিনের রিমান্ডে দেশ টিভির এমডি আরিফ
২০১৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জেলা শহরের হাটের রাস্তায় জামায়াত নেতা আব্দুস সালাম নিহতের ঘটনায় চলতি বছরের ২৬ আগস্ট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলামসহ ৭০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ২০০ জনের নামে সদর থানায় মামলা হয়। এরপর, ২০১৫ সালের ২৯ জুন জেলা শহরের গুলশানপাড়া এলাকায় তরিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা করা হয়।
সিআইডির পক্ষ থেকে আদালতে সালাম হত্যা মামলায় ৭ দিন ও তরিকুল হত্যা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হলে তাদের পুলিশ হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
সাইদুল করিম মিন্টু ও গ্যাস বাবু ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যা মামলায় (কোলকাতার সঞ্জিভা গার্ডেনে হত্যার ঘটনা ঘটে) আগে থেকেই গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন।
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাইদুল করিম মিন্টুকে গত ১১ জুন বিকাল ৪টার দিকে ঢাকার ধানমণ্ডি এলাকা থেকে তাকে আটক করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল। অপরদিকে, একই ঘটনায় গত ৬ জুন রাতে ঝিনাইদহ শহরের আদর্শপাড়া এলাকা থেকে গ্যাস বাবুকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলার অন্যতম আসামি শিমুল ভূঁইয়ার নিকটাত্মীয় কাজী কামাল আহম্মেদ বাবু।
আরও পড়ুন: রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক মন্ত্রী আমু
২ সপ্তাহ আগে
ফরিদপুরে হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
ফরিদপুর সদরের ডিক্রিরচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টুকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমার মোড় এলাকা থেকে ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মেহেদী হাসান ডিক্রিরচর ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক ছিলেন। এ ছাড়া তিনি ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে পরিচিত।
এর আগে নিক্সনের আরেক ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে পরিচিত জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম তালুকদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সিতে পাস, গ্রেপ্তার ৩
দীর্ঘদিন ধরে ডিক্রিরচর এলাকায় পদ্মা নদী থেকে অবৈধ বালু তোলার অভিযোগ রয়েছে মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান জানান, মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় হত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে দুটি মামলা রয়েছে। তাকে হত্যা মামলায় আপাতত গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। পরে তাকে অপর মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, হত্যা মামলার বাদী ডিক্রিরচর ইউনিয়নের আয়জদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা রুমন শেখ। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সিঅ্যান্ডবিঘাট টোল প্লাজার সামনে বিএনপি প্রার্থী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের পক্ষে পোস্টার লাগান ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা হিরু শেখ। এ সময় তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মেহেদী হাসানকে আসামি করে সম্প্রতি ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন হিরুর ছেলে রুমন শেখ। এছাড়া শহরের কমলাপুর মহল্লার বাসিন্দা আজাদ শেখ বাদী হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কবির আহমেদ বলেন, ‘মেহেদী হাসানকে রবিবার (১ ডিসেম্বর) আদালতে সোপর্দ করা হবে। তাকে পুলিশের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের অনুমতি চাওয়া হবে।’
উল্লেখ,ফরিদপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক খালিদ হোসাইন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। তার বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে ১ কোটি সাত লাখ ৪৮ হাজার ১৭২ টাকা অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় দুদক এ মামলাটি রুজু করা হয়।
আরও পড়ুন: রাবিতে সার্টিফিকেট তুলতে এসে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
৩ সপ্তাহ আগে
সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর রহমান বরখাস্ত
হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেনের সই করা প্রজ্ঞাপনে তাকে বরখাস্তের তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ডিএমপির ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বিভাগের এডিসি (সুপারনিউমারারি পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)) জুয়েল রানাকে নিউমার্কেট থানার মামলায় গ্রেপ্তার করে ১৮ অক্টোবর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তাই সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন)-এর ৩৯ (২) ধারার বিধান অনুযায়ী তাকে ১৮ অক্টোবর থেকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত আইজি হিসেবে পদোন্নতি পেলেন ৬ ডিআইজি
সাময়িক বরখাস্তকালীন জুয়েল রানাকে রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোশ ভাতা প্রাপ্য হবেন বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা মামলায় মশিউরকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
৩ সপ্তাহ আগে
টাঙ্গাইলে হত্যা মামলায় নারীসহ দুজনের যাবজ্জীবন
পাওনা টাকার জেরে ঝর্ণা রানী দাস নামের এক নারীকে হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় মনোয়ারা ও উজ্জল নামে দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে উভয়কে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৪ মাস করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) টাঙ্গাইল দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আফরোজা বেগম এই রায় দেন। আসামিরা এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার বাসাইল পূর্বপাড়া গ্রামের মনোয়ারা আক্তার এবং একই এলাকার উজ্জ্বল ইসলাম।
আরও পড়ুন: আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেরোবির সাবেক প্রক্টর গ্রেপ্তার
আদালত সূত্র জানায়, মনোয়ারার কাছে টাকা পেতেন ঝর্ণা। ২০১৮ সালে ২৮ অক্টোবর সকালে ওই টাকার জন্য তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মনোয়ারা তার ভাতিজা উজ্জলকে সঙ্গে নিয়ে ঝর্ণা রানী দাসকে হত্যা করেন এবং লাশ মনোয়ারার বাড়ির দক্ষিণ পাশের একটি কক্ষের মেঝের মাটিতে পুঁতে রাখেন।
পরদিন ঝর্ণার স্বামী সুনীল কুমার দাস বাদী হয়ে মনোয়ারা ও উজ্জলকে আসামি করে বাসাইল থানায় মামলা করেন। মামলা হলে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হলে তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ঝর্ণার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এরপর ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন বাসাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সেকান্দর আলী।
আরও পড়ুন: লাশের সুরতহাল-ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে ভয়ংকর তথ্য রয়েছে: মুনিয়া হত্যামামলার আইনজীবী
১ মাস আগে
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেরোবির সাবেক প্রক্টর গ্রেপ্তার
আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামি বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
রংপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। তিনি রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী ছিলেন।
শরিফুল ইসলাম বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের সাক্ষাৎ
বিষয়টি নিশ্চিত করে রংপুর পিবিআই পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন বলেন, গত ১৬ জুলাই বেরোবির গেটে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলার অন্যতম আসামি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পুলিশকে গুলি করতে নির্দেশনা দেওয়ার অভিযোগ আছে।
এর আগে একই মামলায় মহানগর পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমীর আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ১৮ আগস্ট আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী পুলিশের সাবেক আইজিপিসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামসহ সাতজনের নাম মামলায় নথিভুক্ত করার জন্য সম্পূরক এজাহার দেন তিনি। আদালতের আদেশে তাদেরও ওই মামলায় এজহারভুক্ত আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: শহীদ আবু সাঈদকে 'বীরশ্রেষ্ঠ' বললেন এনবিআর চেয়ারম্যান
আবু সাঈদ হত্যা: অভিযুক্ত ২ পুলিশ সদস্যের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
১ মাস আগে
হযরত আলী হত্যা মামলায় স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে প্রেমের সম্পর্কের জেরে হযরত আলী নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় স্ত্রী ও তার প্রেমিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক আলী মনসুর এ রায় দেন।
আসামিরা হলেন- নিহত হযরত আলীর স্ত্রী সাবিনা খাতুন ও লিয়াকত আলী। নিহত হযরত আলী ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের বাসিন্দা ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইজিবাইক চালককে হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১ জনের যাবজ্জীবন
মামলার বিবরণে জানা যায়, হযরত আলী সাবিনা খাতুনকে নিয়ে সংসার করাকালে লিয়াকত আলীর সঙ্গে সাবিনা খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। হযরত আলী তার ঘরে সাবিনা খাতুন ও লিয়াকত আলীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে দুজনকেই গালমন্দ করেন। এরপর সম্পর্ক চালিয়ে যেতে লিয়াকত ও সাবিনা খাতুন মিলে হযরত আলীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
২০২১ সালের ২৯ আগস্ট হযরত আলী হালুয়াঘাট থেকে শেরপুরের নালিতাবাড়ি যাওয়ার পথে সাবিনা খাতুন ফোন করে হযরত আলীর অবস্থান জেনে নেন। পরে লিয়াকত আলী কৌশলে হযরত আলীকে হালুয়াঘাট পশ্চিম কুতিকুড়া আঁতলা বিলের সামনে নিয়ে যান। সেখানে রাত সাড়ে এগারোটার দিকে হযরত আলীর গলায় থাকা গামছা পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন লিয়াকত আলী।
ঘটনাটি ফোন করে সাবিনা খাতুনকে অবহিত করেন। পরে দুজনে মিলে লিয়াকত আলী আবাদি জমিতে হযরত আলীর মরদেহ পুঁতে রাখেন।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই আবু নাসের বাদী হয়ে হালুয়াঘাট থানায় হত্যা মামলা করলে আদালত সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে অভিযুক্তরা দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে সেনাসদস্য হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
চাঁদপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
১ মাস আগে
হত্যা মামলায় সাবেক আইজিপি শহীদুল হকসহ ৩ জন রিমান্ডে
বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহীদুল হক ও যুগ্ম সচিব কিবরিয়াসহ ৩ জনকে ২ দিন করে রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ৮ বাসযাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় সোমবার কুমিল্লা সিনিয়র চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা সুলতানা এ রায় দেন।
আদালতে জেলা পিপি কায়মুল হক রিংকুর নেতৃত্বে ২০০ জন বিএনপি ও জামায়াতপন্থী আইনজীবীর উপস্থিতিতে শহিদুল হক, কিবরিয়া মজুমদার ও জহিরুল ইসলাম সেলিমকে ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: রিমান্ডে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি পলক
আদালত থেকে ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এসময় আসামি পক্ষে ছিলেন এইচ এম আবেদ নামের একজন আইনজীবী।
পিপি কায়মুল হক রিংকু বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে তার বাসায় বালুর ট্রাক দিয়ে আটকে চৌদ্দগ্রামে এই হামলার পরিকল্পনা করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এসবের সহযোগিতায় ছিল এই পুলিশ কর্মকর্তাসহ কতিপয় সরকারের সহযোগীরা। তারা ৮ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে। পরে আবার আমাদের মামলার হয়রানি করেছে। আদালতকে আমরা বুঝিয়েছি তাই মামলায় তাদের ২ দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেছে। আমরা মামলার বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।
জানা গেছে, ২০১৫ সালে ৩ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুরে আইকন পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আটজন নিহত হয়। এই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করে তৎকালীন পুলিশ।
তবে ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর ১১ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা আদালতে একই ঘটনায় পাল্টা মামলা দায়ের করেন নাশকতা কবলিত ওই বাসটির তত্ত্বাবধায়ক পরিচয়দানকারী আবুল খায়ের।
বর্তমান মামলাটিতে সাবেক রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক, সাবেক আইজিপি শহিদুল হক, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, কুমিল্লার সাবেক পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তীসসহ ১৩০ জনের নামোল্লেখসহ অন্তত ১৯০ জন আসামি রয়েছে।
এই মামলায় আজ কুমিল্লা আদালতে তাদেরকে হাজির করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে মেনন, ইনু ও পলক
১ মাস আগে