মোবাইল ছিনতাইকে কেন্দ্র করে ফরিদপুর মহানগর কৃষকদলের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত চারজন আহত হয়েছেন। এ সময় বাড়িঘর ভাঙচুরসহ গুলি ও বোমা নিক্ষেপের অভিযোগ পাওয়া যায়, তবে বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ।
সংঘর্ষে জড়ানো নেতারা হলেন— মহানগর কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির ও একই কমিটির ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ শেখ।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে ফরিদপুর সদরের মাচ্চর ইউনিয়নের বাহিরদিয়া বাজার এলাকায় এই সংঘর্ষ বাঁধে।
এ বিষয়ে ফরিদ শেখ বলেন, ‘মহানগর কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক জহিরুলের সকর্থক জাফর শেখ আমার সমর্থক খসরুর একটি মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে যায়। মোবাইলটি বিদেশ থেকে আনা। এটি ফেরত পেতে হলে ১০ হাজার টাকা দাবি করে। পরে টাকা না দেওয়ায় জহিরুল আর জাফর মিলে ওদের মারধর করে।’
‘এ ঘটনায় বাহিরদিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে জাফরকে ফোন দিলে উচ্চবাচ্য হয়। এরপর জহিরুল ও ইমন স্বেচ্ছাসেবক লীগের লোকজন নিয়ে আমাদের ওপর বোমা নিক্ষেপ করে ও পিস্তল বের করে গুলি চালায়।’
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে নিহত ২
তবে ছিনতাইয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে জহির বলেন, ‘আমার সমর্থক জাফর শেখের মেয়েকে উত্যক্ত করায় ঝামেলা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাহিরদিয়া বাজার এলাকায় এলে আমার ব্যাক্তিগত গাড়ি ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এতে আমার তিন সমর্থক আহত হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো বোমা নিক্ষেপ করিনি। বরং ওরা আমাদের ওপর বোমা নিক্ষেপ করলেও বোমাটি ফাটেনি।’
ফরিদপুর মহানগর কৃষক দলের সভাপতি মামুনুর রশিদ বলেন, ‘সামান্য ঘটনা নিয়ে ফরিদ ও জহিরুলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কোনো ভাঙচুর, গুলি বা বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেনি। নিজেদের মধ্যে বিষয়টি মিটমাট হয়ে গেছে।’
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, ‘গুলি-বোমার ঘটনা টোটালি বোগাজ। একটু উত্তেজনা হয়েছিল। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’