গত ২৪ ঘণ্টায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ জন মারা গেছেন। এনিয়ে চলতি মাসের ২২ দিনে এই হাসপাতালে ২৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় ১১১ এবং উপসর্গ নিয়ে ১৩৩ জন।
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুর রহমান এ তথ্য জানেয়ছেন।
আরও পড়ুনঃ কিশোরগঞ্জে করোনা ও উপসর্গে ১৫ জনের মৃত্যু
তিনি বলেন, যারা মারা গেছেন তারা ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদ, মাগুরা জেলা থেকে এই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন।
এই চিকিৎসক বলেন, দূরদুরান্ত থেকে যে রোগীগুলো আসে তাদের শারীরিক অবস্থা একেবারের খারাপ নিয়ে আসে। যে কারণে তাদের মধ্যেই মৃত্যুর হার বেশি।
তিনি বলেন, করোনার এই দুর্যোগে আমরা প্রত্যেক রোগীকে সাধ্যমত সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের চেষ্টার ঘাটতি নেই।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বে করোনা আক্রান্ত ১৯ কোটি ১৯ লাখ ছাড়াল
হাসপাতালের এই পরিচালক বলেন, ২২ দিনের মধ্যে সব থেকে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে ১৭ জুলাই। এই দিনে মারা গেছে ২১ জন।
বর্তমানে ৫১৬ শয্যার এই মেডিকেল কলেজে পুরোটাই করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সোমবার (২২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ৩০৬ জন ভর্তি রোগী রয়েছে। এর মধ্যে আইসিইউয়ে রয়েছে ১৬ জন।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ’র) ফরিদপুর শাখার সভাপতি ডা. আ স ম জাহাঙ্গীর চৌধুরী টিটো বলেন, এই ভ্যারিয়েন্টা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। আক্রান্ত ব্যক্তিকে অল্প সময়েই খারাপ দিকে চলে যাচ্ছে আর এজন্য মৃত্যু বাড়ছে।
আরও পড়ুনঃ ঈদের দিন করোনায় মৃত্যু ১৭৩, শনাক্ত ৩০.৪৮ শতাংশ
তিনি বলেন, কোন ব্যক্তি শরীরে সামান্য জ্বর, ঠাণ্ডা বা অন্য কোনো সমস্যা হলেই দ্রুত চিকিৎসকরে পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকলকেই চলতে হবে।
ফরিদপুর জেলার করোনা আক্রান্তে বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮২ নমুনা পরীক্ষায় নতুন শনাক্ত হয়েছে ৯০ জন। শতকরা হারে যা ৩৪.৫৭ শতাংশ।
তিনি জানান, এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৪৭৪ জন, সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৯৮৭ জন। ফরিদপুর জেলায় এ পযর্ন্ত মোট মৃত্যু ৩৪১ জন।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, করোনার এই দুর্যোগে সকলকেই স্বাস্থ্যবিধির মধ্যে আসতে হবে। শুধু আইন প্রয়োগ করে নয়, করোনা যুদ্ধে সকল শ্রেণি মানুষের সহযোগিতা দরকার।
তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি জেলার হাট-বাজার, বিপনী বিতানসহ জনবহুল স্থানে মানুষকে সচেতন করতে এবং স্বাস্থ্য বিধির মধ্যে আনতে।