ফেনীর ছাগলনাইয়ায় পল্লী বিদ্যুতের জোনাল কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাত ৫০০ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।
ঘটনায় জড়িত এবং মুঠোফোনে ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের হামলার হুমকি প্রদানের অভিযোগে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক ব্যক্তির নাম রাকিবুল হাসান শুভ (২৬)। তিনি উপজেলার পশ্চিম ছাগলনাইয়া গ্রামের সুবেদারী রাস্তার মাথা নামক এলাকার বাসিদা ও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালের আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র।
মঙ্গলবার ( ১৮ এপ্রিল) বিকালে তাকে আটক করে ছাগলনাইয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। থানায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদ্বীপ রায় ছাগলনাইয়া পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটকের বিষয় নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ছাগনাইয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার পর আবারও এক ব্যক্তি কার্যালয়ের সরকারি ফোন নম্বরে কল দিয়ে পরবর্তীতে আরও বড় ধরনের হামলা, ভাঙচুর ও জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
আরও পড়ুন: ফেনীতে লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ
ছাগলনাইয়া পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. জানে আলম এ হুমকির বিষয় তাৎক্ষণিক পুলিশকে অবহিত করেন।
পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই অজ্ঞাত ফোনের মালিককে শনাক্ত করে তাকে আটক করেন। তবে ওই নম্বরের সিমটি উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। তাকে আরও অধিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই সিমটি উদ্ধার করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
জানে আলম জানান, পিক আওয়ারে উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ২০ মেঘাওয়াট। কিন্তু তাদেরকে দেওয়া হয় ছয় মেগাওয়াট বা সাত মেগাওয়াট। যা গ্রাহক পর্যায়ে গড়ে প্রতিটি এলাকায় দিনে সাত বা সাড়ে সাত ঘন্টা বিদ্যুৎ দেওয়া যায়।
উল্লেখ্য, গত রবিবার রাত পৌনে ৮টায় লোডশেডিং-এ অতিষ্ঠ হয়ে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা উপজেলা সদরে মিছিল বের করে এবং এক পর্যায়ে অতর্কিত বিদ্যুৎ কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুর চালায়। এ সময় কার্যালয়ের ফটক ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর ও কিছু প্রয়োজনীয় নথি নষ্ট করা হয়। ফলে প্রায় দুই লাখ ৫০ হাজার টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে বলে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ফেনীতে সাজাপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার আদালতে আত্মসমর্পণ, কারাগারে প্রেরণ