এছাড়াও সাথে আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত ইউসুফ ফেনী সদর উপজেলার কাতালিয়া গ্রামের সুলতান আহম্মদের ছেলে।
রবিবার জেলা ও দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা রায় ঘোষণা করেন। আসামি মো. আবু ইউসুফ কারাগারে রয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌসুলি হাফেজ আহম্মদ জানান, এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।
বাদীপক্ষের আইনজীবী জাহিদ হোসেন খসরু বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম সর্বোচ্চ সাজা হবে। রায়ের কপি পেলে উচ্চ আদালতে আপিলের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে।’
এর আগে গত ১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার যুক্তিতর্ক শেষে রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেন। ২৯ নভেম্বর আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামি মো. ইউসুফকে পরীক্ষা করেন।
এ মামলায় বাদী আমির হোসেন রিপন, রফিকুল ইসলাম সাহেদ, খোরশেদ আলম সুজন, ইকবাল হোসেন, একরামুল হক বাবুল, সামছুদ্দীন, মোমিনুল ইসলাম, তদন্ত কর্মকর্তা এসআই গোলাম কিবরিয়া, এসআই সাজিদ কামাল, ডা. প্রদীপ কুমার, বিচারক আলমগীর মোহাম্মদ ফারুকী, পুলিশ কনস্টেবল জসিম উদ্দিন সাক্ষ্য দেন।
মামলার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর ফকিরহাট বাজারে বাবলুকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে আমজাদ হোসেন মারা যান। এ মামলায় তার বড় ভাই আমির হোসেন রিপন বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারের পর ইউসুফ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর মোহাম্মদ ফারুকীর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলাটি তদন্ত করে পরের ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট অভিযোগ গঠন হয়।