বরিশালের বাকেরগঞ্জে অবসর প্রাপ্ত বিজিবি সদস্যের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চার ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম, স্বর্ণ, নগদ টাকা ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বরিশাল জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম (বিপিএম)।
গ্ৰেপ্তার ডাকাতেরা হলেন- বাকেরগঞ্জের দুধল ইউনিয়নের চাটরা গ্রামের বাদল খানের ছেলে মুছা খান (২১), একই এলাকার নুর মোহাম্মদ খলিফার ছেলে পলাশ খলিফা (৩৩), জালাল সিকদারের ছেলে সাগর সিকদার (২৩) ও আব্দুল আজিজ খানের ছেলে মাসুদ খান (৪০)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, গত ২০ অক্টোবর দিবাগত রাতে উপজেলার দুধল ইউনিয়নের চাটরা গ্রামের অবসর প্রাপ্ত বিজিবি সদস্য রফিকুল ইসলাম খলিফার (৫৪) বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ১০ থেকে ১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জানালার গ্লাস ভেঙ্গে রফিকুল ইসলামের বাড়িতে ডুকে পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আলমিরা থেকে নগদ ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭০০ টাকা, ১২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ফোন, ঘড়ি ও অন্যান্য মালামালসহ মোট ১২ লাখ ২৬ হাজার ৫০০ টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় রফিকুল ইসলাম ইসলাম বাকেরগঞ্জ থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার প্রেক্ষিতে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম জেলার বিভিন্ন স্থানে যৌথ অভিযান চালিয়ে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চার ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত পলাশ খানের বিরুদ্ধে একটি হত্যা ও একটি মাদক মামলা রয়েছে।
এ ছাড়া মুছা খানের বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা বিচারাধীন আছে।
পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেপ্তারকৃত মুছা খান ও সাগর সিকদার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির ঘটনা স্বীকার করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকালে সাগর সিকদারের বাসা থেকে ডাকাতির একটি স্বর্নের চেইন, গ্ৰিল ভাঙার কাজে ব্যবহৃত একটি রেঞ্জ ও মুছা খানের বাসা থেকে একটি রামদা, একটি ছোরা এবং মাসুদ খানের বাসা থেকে এক জোড়া কানের ঝুমকা, এক জোড়া কানের রিং এবং নগদ ২৪ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
এ ছাড়া ডাকাতির ঘটনায় জড়িত অন্যান্য ডাকাত ও অবশিষ্ট মালামাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।