বুধবার বাগেরহাটের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত এ আদেশ দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) খুলনা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মিলন কুমার ব্যানার্জি।
জানা গেছে, এক লাখ টাকা জমা রাখলে মাসে ২৪০০ টাকা লাভ এমন প্রতারনার ফাঁদ পেতে ৪০ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করেছিলেন মান্নান তালুকদার। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হবার পর বাংলাদেশ ব্যাংক এবং দুদক তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে বিষয়টি প্রমানিত হওয়াই মান্নান তালুকদারসহ তার কয়েকজন সহযোগীর নামে গত বছরের ৩০ মে বাগেরহাট থানায় ১১০ কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। এ মামলায় মান্নান তালুকদার এখন কারাগারে রয়েছে।
তদন্ত করে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সম্পত্তির তালিকা করে জব্দ করার জন্য সিনিয়র স্পেশাল জজ, বাগেরহাট আদালতে আবেদন করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মো. শাওন মিয়া। করোনাকালীন ছুটি ও লকডাউনে শুনানি এতোদিন অনুষ্ঠিত হয়নি।
দুদকের আইনজীবী পিপি অ্যাডভোকেট মিলন কুমার ব্যানার্জি জানান, গত ৩১ আগস্ট জব্দ আদেশের শুনানি শুরু হয়। বুধবার সিনিয়র স্পেশাল জজ গাজী রহমান জব্দের আদেশ দেন।
জব্দ হওয়া তালিকায় কোটি টাকা মূল্যের চারটি গাড়ি, বিভিন্ন ব্যাংকে ৩০টি হিসাবে থাকা ৬২ লাখ টাকা ও তার বাড়িসহ বিল কৃষি জমির ১০৮টি প্লট রয়েছে।
আদালতে দাখিল করা দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের এমডি আব্দুল মান্নান তালুকদার জনগণের সাথে প্রতারণা ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমান সম্পদ অর্জন করেছেন। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ২ (গ) ধারা অনুয়ায়ী দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত এ অর্থ স্থানান্তর, রুপান্তর ও হস্তান্তর করে অপরাধ করেছেন। দুদকের প্রধান কার্ষালয় হতে মান্নান তালুকদারের স্থাবর/অস্থাবর/সম্পত্তি জব্দ এবং ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করার নির্দেশনা দিয়েছে।