খুলনা-ঢাকা মহাসড়কের বাগেরহাট জেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মার্চ ফর ইউনিটির গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলার মোল্লাহাট উপজেলার মাদরাসাঘাট এলাকায় ছাত্রদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনাটি ঘটে।
এদিকে শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে মুহূর্তেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোটা এলাকা। প্রায় এক ঘণ্টার সংঘর্ষে অনন্ত ২০ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ সময় খুলনা-ঢাকা মহাসড়কে প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
আরও পড়ুন: দুর্বৃত্তের হামলায় জনবাণী পত্রিকার সম্পাদকসহ ৪ সাংবাদিক আহত
এ সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা সেখানে ছুটে আসেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ আওয়ামী লীগের দোসররা পরিকল্পিত এই হামলা চালিয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, খুলনা থেকে শিক্ষার্থীদের বহনকারী ২৫টি বাস ঢাকার যাচ্ছিল। তাদের বাস মাদরাসাঘাট এলাকায় পৌঁছালে তাদের গাড়িবহর লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে হামলা চালানো হয়।
স্থানীয়দের দাবি, যাত্রীবাহী বাস বাগেরহাটের ফকিরহাটের নওয়াপড়া এলাকা থেকে শিক্ষার্থীদের বহনকরা গাড়িবহরকে বারবার চাপ দিতে থাকে ও এক পর্যায়ে পেছন থেকে শিক্ষার্থীদের গাড়িতে ধাক্কা দেয়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ওই বাসের স্টাফদের বাকবিতণ্ডা হয়। ওই বাস এবং শিক্ষার্থীদের বহনকারী গাড়িবহর মোল্লাহাটের মাদরাসাঘাট এলাকায় পৌঁছালে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
বাস ও বাস কাউন্টারের স্টাফদের সঙ্গে স্থানীয়রা ওই হমলায় অংশ নেয়। শিক্ষার্থীদের বহনকারী একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। মুহূর্তেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোটা এলাকা।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন খুলনার সমন্বয়ক জহুরুল তানভীর বলেন, খুলনা থেকে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের গাড়িবহর ঢাকায় যাচ্ছিল। গাড়িবহর মোল্লাহাট এলাকায় পৌঁছালে ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসররা তাদের ওপর হামলা চালায়। ওই হামলায় তাদের বেশকয়েকজন আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: 'মার্চ ফর ইউনিটি'র সমর্থনে শহীদ মিনারে জড়ো হয়েছেন শিক্ষার্থীরা
আরেক সমন্বয়ক মিনহাজুল আবেদীন সম্পদ বলেন, পরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আমাদের ভাইদের রক্ত ঝরিয়েছে তারা।
তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানান তিনি।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বেলা ২টার দিকে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। শিক্ষার্থীরা গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বাস কাউন্টারের স্টাফদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজন ওই হামলা চালায়।