তারা সার্বক্ষণিক ঘূর্ণিঝড়টির গতিবিধি জানার চেষ্টা করছেন। সেই সাথে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন শরণখোলা, মোংলা, মোড়েলগঞ্জ ও রামপাল উপজেলার উপকূলবর্তী মানুষের।
প্রশাসন ‘আম্পান’ মোকাবিলায় এরই মধ্যে জেলায় নানা ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে দুর্যোগকালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। স্থায়ী এবং অস্থায়ী মিলিয়ে ৮৪৫ কেন্দ্রে প্রস্তুত রাখা রাখা হয়েছে।
সমুদ্রবন্দর মোংলার জেটি এবং বহির্নোঙরে অবস্থানরত সব নৌযান নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। সোমবার বিকাল পর্যন্ত বন্দরে অবস্থানরত জাহাজে মালামাল ওঠানামার কাজ স্বাভাবিক ছিল বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানান, ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য আঘাত হানা বিবেচনায় নিয়ে সব ধরনের প্রস্ততি নেয়া হয়েছে এবং ঝড় পরবর্তী প্রস্তুতিও রয়েছে তাদের। ঝড় আঘাত হানলে মানুষের জানমালের ক্ষতি যাতে না হয়, আর হলেও যেন সামান্য পর্যায়ে থাকে সে জন্য প্রস্তুতি রয়েছে জেলা প্রশাসনের।
মামুনুর রশীদ আরও বলেন, আগের ৩৪৫ স্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি অতিরিক্ত ৫০০ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে পাঁচ লাখ ৯৬ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। একই সাথে মানুষ তাদের গবাদি পশুও নিয়ে আসতে পারবেন আশ্রয়কেন্দ্রে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহ জাহান বলেন, ‘বন্দরের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্ততি নেয়া হয়েছে। বন্দরে এ মুহূর্তে ১১টি বাণিজ্যিক জাহাজ অবস্থান করছে। জাহাজে মালামাল ওঠানামার কাজ স্বাভাবিক রয়েছে।’