তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম ও পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে থানচি থেকে লেকক্রী নামক স্থানে নির্মাণাধীন একটি সড়কের কাজ করতে যাওয়ার সময় একটি জিপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন। দুর্ঘটনার স্থান থানচি বাজার থেকে তিন কিলোমিটার দূরে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক ইয়াসমীন পারভীন তিবরীজি জানান, আহত পাঁচজনকে থানচি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বান্দরবান অথবা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) পাঠানো হবে।
দেশের সড়ক দুর্ঘটনা পরিস্থিতি
দেশের সড়ক ও মহাসড়কে দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা গত নভেম্বরে কিছুটা বেড়েছে। মাসজুড়ে সংঘটিত ৪১৭ দুর্ঘটনায় ৪৩৯ জন নিহত এবং ৬৮২ জন আহত হয়েছেন।
নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করা রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নামে এক সংস্থার ৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত নতুন প্রতিবেদনে এ পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে।
সংস্থাটির তথ্যমতে, গত অক্টোবর মাসে ৩১৪ দুর্ঘটনায় ৩৮৩ জন নিহত হন।
গত নভেম্বর মাসে এককভাবে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। এ ধরনের ১২৮টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৪১ জন। যা মোট নিহতের ৩২.১১ শতাংশ। আর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা মোট ঘটনার ৩০.৬৯ শতাংশ।
প্রতিবেদনে দেয়া তথ্যমতে, দুর্ঘটনায় ১১৬ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২৬.৪২ শতাংশ। আর যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৪৯ জন, যা মোট নিহতের ১১.১৬ শতাংশ।
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। রাজধানীতে ১১১ দুর্ঘটনায় ১২৮ জন নিহত হয়েছেন। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২২ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৪ জন।
দেশে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে ১০ বিষয়ের কথা উল্লেখ করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। এগুলো হলো- ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, নির্দিষ্ট বেতন ও কর্মঘণ্টা না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, তরুণ ও যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহণ খাতে চাঁদাবাজি।
সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।