গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, দেশের বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও সরকারের কর্তৃত্ব থেকে আলাদা করতে হবে।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী ও স্বনির্ভর করতে হবে। সমস্ত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র হতে হবে স্থানীয় সরকার।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা মনে করি, সরকার, রাজনৈতিক দল, শিক্ষার্থী, বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষসহ দেশের জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধ। জনগণ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য লড়াই করবে।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লিয়াকত আলী মিলনায়তনে (খুলনা প্রেসক্লাব) এক গণসংলাপে জোনায়েদ সাকি এসব কথা বলেন।
গণসংলাপে দেশের বর্তমান পরিস্থিতির উন্নতি, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের গতিমুখ, বাজার নিয়ন্ত্রণ, দ্রব্যমূল্যের দাম সহনীয় করার দাবি জানানো হয়।
আরও পড়ুন:
এছাড়া পোশাক শ্রমিকসহ অন্যান্য খাতের শ্রমিকদের চাকরির নিরাপত্তা ও সর্বোপরি দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে জনগণের পাশে সর্বাত্মকভাবে দাঁড়ানো ও নিজেদের সংগঠনের শক্তি বাড়ানো বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।
জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদীরা শক্তিশালী হলেও তাদের ষড়যন্ত্রের জাল আমাদের শক্তির চেয়ে বেশি নয়। ভারতীয় শক্তির পক্ষে সমর্থিত হয়ে আওয়ামী লীগ এখন হিন্দু সম্প্রদায়কে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে ভারতে বিজেপির ভোটের রাজনীতিতে হাওয়া দিচ্ছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব তাদের এইসব ষড়যন্ত্রমূলক তৎপরতার ফলে আজ হুমকির সম্মুখীন। এদের রুখতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, এই সরকারের ব্যর্থতার কোনো সুযোগ নেই। কীভাবে সফল করা যায় সে বিষয়েই রাজনৈতিক ঐক্য তৈরি করতে হবে।
এছাড়া সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনা ও গণতান্ত্রিক উত্তরণে সাফল্যের জন্য সকল রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান জোনায়েদ সাকি।
তিনি আরও বলেন, আমরা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত চাই, যা গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিমূলক। শেখ হাসিনা যে স্বৈরাচারী ব্যবস্থা তৈরি করেছেন, তাকে একটি ফ্যাসিস্ট বন্দোবস্তে পরিণত করা হয়েছে। সংবিধান এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে কেউ কিছুই করতে না পারে। এছাড়া রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে পকেটে ঢুকিয়ে যা ইচ্ছা তাই করা হচ্ছে।
সাকি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণের সংগ্রামের ফলাফল যাতে আবারও ছিনতাই হয়ে না যায় সেদিকে সকলের নজর রাখতে হবে। সংগ্রামের শক্তিগুলোর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির যেকোনো প্রচেষ্টা রুখে দিতে হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের খুলনা জেলা কমিটির আহ্বায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেলের সভাপতিত্বে গণসংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
আরও পড়ুন: