বিচার বিভাগ
‘বিচার বিভাগের প্রতি কোনো সরকারই যথার্থ নজর দেয়নি’
গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, যদি মানুষ অনুভব করে যে বিচার বিভাগ স্বাধীন নয়, তাহলে রাষ্ট্রে সেই বিচার বিভাগের কোনো আস্থার স্থান থাকে না। বিচার বিভাগের প্রতি কোনো সরকারই কখনও যথার্থ নজর দেয়নি। ফলে বিচার বিভাগ সরকারের সবচাইতে দূর্বলতম বিভাগে পরিণত হয়েছে।
‘নির্বাহী বিভাগ হতে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের ১৭ বছর’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মিনৌরী বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বুধবার এই মুক্ত আলোচনা সভার আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবী মানবাধিকার সংগঠন ‘হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন’ এবং মাসিক আইন ও বিচার।
মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘বিচার বিভাগের আজকের অবস্থা আমাদের সামষ্টিক ব্যর্থতা। আইনজীবীরা বিচারকদের বিচারিক কার্যক্রমের সহযোগী। কোর্টে বেঞ্চ আর বার একই মুদ্রার দুই পিঠ। এজন্য এই দুই অংশকে সমন্বয়ের মাধ্যমে বিচার বিভাগ সাজাতে হবে।’
‘বিচারকদের মানসিকভাবে স্বাধীন হতে হবে, তা না হলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘জুডিশিয়ারির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো তার এক্সেস। আইন বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগের স্বচ্ছতা নির্ধারণে বিচার বিভাগ কাজ করতে পারে, কিন্তু তা অবশ্যই স্বাধীনভাবে। বিচার বিভাগের টাইরানির চেয়ে বাজে বিষয় হতে পারে না। এর কারণে মানুষ যে ভোগান্তিতে পড়ে তা অস্বাভাবিক। যদি মানুষ অনুভব করে যে বিচার বিভাগ স্বাধীন নয়, তাহলে রাষ্ট্রে সেই বিচার বিভাগের কোনো আস্থার স্থান থাকে না।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নির্বাচন করবে কি না, তা ঠিক করবে জনগণ: ফখরুল
হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন আইন সংস্কার কমিশনের সদস্য মাজদার হোসেন; সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিস্টার, জেলা জজ ও সংবিধান আলোচক ইকতেদার আহমেদ; গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য জিমি আমির; বাংলাদেশ আইনজীবী অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট মো. খাদেমুল ইসলাম; জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট শাকিল আহমেদ; সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান প্রমূখ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. পারভেজ।
আইন সংস্কার কমিশনের সদস্য মাজদার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, ‘পৃথক সচিবালয় স্থাপনের দাবি নিয়েই আমাদের সংগ্রাম। সেই দাবি থেকে আদৌ সরে যাইনি এবং এ দাবির প্রতি অটল রয়েছি। বিচার বিভাগ প্রধান বিচারপতির নিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে। এমন একটি অবকাঠামো তৈরি করতে হবে যেখানে বিচারকদের নিয়োগ, নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সকল সিদ্ধান্ত প্রধান বিচারপতির নিকট অর্পিত থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘যেই সিআরপিসি বৃটিশরা ফেলে দিয়েছে, আমরা এখনও তা আঁকড়ে ধরে আছি। বাংলাদেশে কাগজে-কলমে বিচার বিভাগ স্বাধীন হলেও তা আমার আশা পূরণ করতে পারেনি। রায়ের ১২ দফার কোনোটিই পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি।’
‘আজও বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করে প্রশাসন। অথচ আইন বিভাগের কাজে প্রশাসন ইন্টারফেয়ার করতে পারে না। বিগত ৫৩ বছরে কোনো রাজনৈতিক দলও জনস্বার্থে আইন করেনি, তারা নিজেদের রক্ষা ও ক্ষমতার স্বার্থেই আইন করেছে। তারা কোনো কালাকানুন বাতিল করেনি। আমরা আষ্টেপৃষ্ঠে শাসকগোষ্ঠী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।’
সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিস্টার, জেলা জজ ও সংবিধান আলোচক ইকতেদার আহমেদ বলেন, ‘বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ এখন আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে, তা সুপ্রিম কোর্টের অধীনে নিতে হবে। তবে আগে সুপ্রিম কোর্টে তা নিয়ন্ত্রণের মতো অবকাঠামো ও পরিস্থিতি ঠিক করতে হবে। অধিকতর যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিরা নিম্ন যোগ্যতাসম্পন্ন লোকদের নিয়ন্ত্রণ করবে। কিন্তু বর্তমানে উচ্চ আদালতে যারা বিচারক হিসাবে আসীন রয়েছেন তাদের যোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ।’
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য জিমি আমির বলেন, ‘মানুষ সুবিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছিল বলেই ছাত্র-জনতার আন্দোলন হয়েছে। তাই সুবিচার নিশ্চিত করতে হবে। আর এজন্যই বিচার বিভাগকে পুর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে, যা ত্রুটিপূর্ণ: প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশ আইনজীবী অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট মো. খাদেমুল ইসলাম খাদেমুল বলেন, ‘বিচার বিভাগ ও বিচারকদের স্বাধীনতা নিশ্চিত না করতে পারলে মানুষের আস্থা অর্জন সম্ভব নয়।’
সভাপতির বক্তব্যে হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শফিকুর রহমান বলেন, ‘১৬ বছর নয়, ৫৩ বছরের অবিচার ধরে কথা বলতে হবে। বিচার বিভাগের সংকট কখনওই কাম্য নয়। আমরা জুডিশিয়ারি টাইরানি দেখেছি। আদালতে আইনজীবীদের বিচারকদের অন্যায় সহ্য করতে হয়ে যা কাম্য নয়। মানুষ ৫৩ বছরের পরে হলেও কথা বলা শুরু করেছে যা আমাদের ধরে রাখতে হবে।’
প্রসঙ্গত, নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ নিছক বিচারক বা আইনজীবীদের বিষয় নয়। পৃথকীকরণ না হলেও জজ সাহেব বেতন বা উকিল সাহেব ফি পাবেন, তাদের ক্ষতি নেই। ক্ষতি পুরোটাই জনগণের। এটি জনগণের প্রতিদিনের ন্যায় পাওয়ার বিষয়, একটি সাংবিধানিক প্রত্যাদেশ।
শুধু তাই নয়, এদেশের জনগণের কমপক্ষে ১০০ বছরের প্রত্যাশা ও রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গীকারের অন্যতম একটি বিষয় হলো বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ।
অবিভক্ত বঙ্গের বিধানসভায় ১৯২১ সালে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাস হয়। তারপর ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের ২১ দফার ১৫ নম্বর দফা ছিল বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ। ১৯৭০ সালের যে নির্বাচনের ফলের ভিত্তিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে, তাতে বিজয়ী পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের নির্বাচনি মেনিফেস্টোর অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল বিচার বিভাগকে শাসন বিভাগ থেকে সম্পূর্ণভাবে পৃথক করা।
দেশ স্বাধীনের পর এটিকে ১৯৭২ সালের সংবিধানের অন্যতম ম্যান্ডেট ঘোষণা করা হয়। ১৯৯০ সালের ৩ জোটের রূপরেখার ৩(খ) দফায় বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষ ও আইনের শাসন নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করা হয়। ২০২৪ সালের শিক্ষার্থী-জনতার জুলাই অভ্যুত্থানের প্রধান স্পিরিট ছিল রাষ্ট্র মেরামত ও নয়া বন্দোবস্ত কায়েম করা।
জনগণের দাবির সঙ্গে কোনো আপোষ চলে না। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর এসে কোনো পেশাজীবী গোষ্ঠী, কায়েমি বা কোটারি স্বার্থ চাইলেও নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ না করা বা তা মুলতবি রাখার সুযোগ নেই। যদি করা হয়, তবে তা হবে জনগণকে উপেক্ষা করার নামান্তর।
এমন শতাব্দী-প্রাচীন নিরঙ্কুশ জন-অভিপ্রায় আর তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রণীত সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার সম্মিলিত প্রকাশ ঘটেছিল মাসদার হোসেন মামলার রায়ে। এর ফলেই ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর বিচার বিভাগের পৃথকীকরণের প্রথম পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল। আমাদের এটাও মনে রাখতে হবে যে, মাসদার হোসেন মামলাও ছিল একটি বৈষম্য বিরোধী মামলা।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে দেয়া তার প্রথম ভাষণেও বিচার বিভাগের সংস্কারকে সরকারের অন্যতম প্রধান প্রতিশ্রুতি বলে অভিহিত করেছেন। প্রধান বিচারপতির ঘোষিত রোডম্যাপের প্রধানতম লক্ষ্য ছিল সুপ্রিম কোর্টের অধীনে পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় স্থাপন।
নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ ছাড়া রাষ্ট্র মেরামত কোনোভাবেই অর্থবহ ও পরিপূর্ণ হবে না। আমাদের গত ৫৩ বছরের রাষ্ট্রনৈতিক অভিজ্ঞতাই তার জাজ্বল্যমান উদাহরণ। আর নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণের আবশ্যকীয় পদক্ষেপ হলো পৃথক সচিবালয় স্থাপন।
আরও পড়ুন: আ. লীগ-জাপা নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে কফিন মিছিল
২১ ঘণ্টা আগে
বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির জন্য বিদেশি কারিগরি সহায়তা নেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি যেন সুষ্ঠু ও মানসম্মত তদন্ত করতে পারে সে লক্ষ্যে সরকার বিদেশি কারিগরি সহায়তা নেবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'আমরা বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটিকে যথাযথ ও মানসম্মত করতে বৈদেশিক কারিগরি সহায়তা গ্রহণ করব।’
মঙ্গলবার বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে সেসময় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দেশপ্রেম থাকলে তারা উন্নয়ন কাঠামো ধ্বংস করত না: প্রধানমন্ত্রী
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এম নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রসঙ্গত, দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সব নিহতের ঘটনা তদন্তে হাইকোর্টের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার।
আরও পড়ুন: শিবির-ছাত্রদল, বিএনপি ও জামায়াত জঙ্গি, কোটা সংস্কার ইস্যু ছিল না: প্রধানমন্ত্রী
৩ মাস আগে
বিচার বিভাগের দক্ষতা-সক্ষমতা বাড়াতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ হাতে নেওয়া হয়েছে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিচার বিভাগের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়াতে আরও বেশকিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপ হাতে নেওয়া হয়েছে। যার অন্যতম হলো মাদারীপুরের শিবচরে ৩৭ দশমিক ২৭ একর জমির উপর বিশ্বমানের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি প্রতিষ্ঠা।
তিনি বলেন, এ একাডেমি প্রতিষ্ঠার জন্য আগামী ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে ১৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। আশা করছি, এই টাকা দিয়ে ভূমি অধিগ্রহণ শেষ করে আগামী অর্থবছরে জুডিসিয়াল একাডেমির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা সম্ভব হবে।
রবিবার (৯ জুন) দুপুরে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের বিচারকদের জন্য আয়োজিত ১৬তম ওরিয়েন্টেশন কোর্সের উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আইনগত সহায়তা পাওয়া করুণা নয় অধিকার: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, এছাড়া বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উদ্যোগে কক্সবাজারে একটি বিশ্বমানের রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার জন্য শেখ হাসিনা এরই মধ্যে ৩ দশমিক ৩৪ একর ভূমি বরাদ্দ দিয়েছেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, খেলাপি ঋণের লাগাম টানতে অর্থঋণ আদালতে বিচারাধীন মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে আরও দুইটি অর্থঋণ আদালত প্রতিষ্ঠা করা হবে। এছাড়া ঢাকায় বিদ্যমান চারটি অর্থঋণ আদালতের পাশাপাশি আরও তিনটি অর্থঋণ আদালত প্রতিষ্ঠা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে আদালত সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
রবিবার (৯ জুন) দুপুরে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের বিচারকদের জন্য আয়োজিত ১৬তম ওরিয়েন্টেশন কোর্সের উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিকে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সরকার সমৃদ্ধ অর্থনীতির শত্রু হিসেবে খ্যাত খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনতে চায় বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী।
তাই ঋণখেলাপি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতি আরও কার্যকরভাবে অনুসরণের পরামর্শ দিয়ে বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এ মামলার শুনানি পর্যায়ে বিবাদীর অযৌক্তিক কালক্ষেপণ রোধ করতে হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, অর্থঋণ আদালত আইনের ৪৬ (৫) ধারা মতে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে আদালত, চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (আর্থিক প্রতিষ্ঠান/ব্যাংকার) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে সুষ্ঠু ও নিয়মিত সমন্বয় সাধন এবং বাদীপক্ষ/ডিক্রিদার পক্ষের সময়মতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। এছাড়া ব্যাংক বা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ মঞ্জুরির বিষয়ে জবাবদিহি ও ঋণ আদায়ে বাদীপক্ষের দায়-দায়িত্ব নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কেবল ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটে আইন ও বিচার বিভাগের জন্য বরাদ্দ রেখেছে ২ হাজার ২২ কোটি টাকা। এর বাইরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জন্যও বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৪৮ কোটি টাকা।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক শেখ আশফাকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন।
আরও পড়ুন: আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে: আইনমন্ত্রী
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন আইনমন্ত্রী
৫ মাস আগে
বিচারালয়কে যেন কোনভাবে রাজনীতিকরণ করা না হয়: সংবর্ধনায় প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, আমি চাইব বিচার বিভাগ ও বিচারালয়কে যেন কোনভাবে রাজনীতিকরণ করা না হয়। এখানে বিচারক ও আইনজীবীদের সম্মিলিত ও মেধাপুষ্ট দায়িত্ব পালনের মাধ্যমেই কেবল সুবিচারের লক্ষ্য অর্জিত হতে পারে এবং তবেই বিচার বিভাগের মর্যাদা অক্ষুন্ন থাকবে।
তিনি বলেন, আমাদের সুপ্রিম কোর্টের এই বিচার অঙ্গন পারস্পরিক সহনশীলতা, সহমর্মিতা ও ভালবাসায় আলোকিত হোক এটিই আমার প্রত্যাশা।
রবিবার (৮ অক্টোবর) আপিল বিভাগে নতুন প্রধান বিচারপতির বিচারিক কার্যক্রমের প্রথম দিনে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সংবর্ধনার জবাবে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।
সংবর্ধনায় প্রধান বিচারপতির জীবন তুলে ধরে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির।
এদিকে ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্ট নামের সরকার বিরোধী একটি আইনজীবী জোট সংবর্ধনায় অংশ না নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। বিক্ষোভ প্রদর্শনে ছিলেন ফ্রন্টের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও সহ-সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব প্রমুখ।
প্রধান বিচারপতি তার বক্তব্যে কবলেন, একটি কথা একটু অপ্রিয় হলেও বলতে চাই, কোন বিষয়ে ভালভাবে না জেনে বা যথেচ্ছভাবে বিচারক ও আদালত সম্পর্কে কটু মন্তব্য মোটেই সভ্যতার ইঙ্গিত বহন করেনা।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা ইউএলএফ’র
সাবেক প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমানের ভাষায় আমিও উচ্চারণ করতে চাই কোনো বিচারকই সমালোচনার ঊর্ধে নন।
সভ্য জগতে ভব্য সমালোচনার একটা অবকাশ রয়েছে। বিচারকের রায়ের সমালোচনা করার অধিকার বাকস্বাধীনতার এক অংশ বলে আমি মনে করি। আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ সাপেক্ষে সংবিধানে এই বাকস্বাধীনতার নিশ্চয়তা বিধান করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশে যে মুক্ত সাংবাদিকতা বিরাজ করছে তার ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখার জন্যে যথেচ্ছা সমালোচনার পরিবর্তে জেনে শুনে ওয়েল ইনফরমড হয়ে সমালোচনার প্রয়োজন। তবে কেউ যদি স্বাধীনতার অপব্যবহার করে তা সংবাদ মাধ্যমই হোক, আইনজীবীই হোক বা যে কেউ হোক তাকে শায়েস্তা করার জন্য আদালতের হাত যথেষ্টই লম্বা।
দুর্নীতির বিষয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, সংবিধানের প্রতি লক্ষ্য রেখে বিচার প্রশাসনকে রাখতে হবে স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত, স্বাধীন এবং সোশ্যাল জাস্টিস তত্ত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
তিনি বলেন, একটি দুর্নীতিমূক্ত বিচার ব্যবস্থা দেশ ও জাতির জন্য গর্বের। আমার দায়িত্ব পালনকালে আমার সতীর্থ বিচারকবৃন্দ ও আইনজীবীদের সুচিন্তিত পথ ধরে একটি র্দুনীতিমুক্ত বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাব। আমি আমাদের বিচার ব্যবস্থাকে আধুনিক করে গড়ে তুলতে এবং সাধারণ মানুষের জন্য সহজলভ্য করতে একটি দীর্ঘ মেয়াদী জুডিসিয়াল প্ল্যান তৈরী করতে চাই। আমার উত্তরসুরিগণ যেন এই প্ল্যান বা পরিকল্পনা ধরে আগামীতে এগিয়ে যেতে পারেন।
উল্লেখ্য, গত ১২ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। গত ২৬ অক্টোবর তিনি শপথ নেন। শপথ গ্রহণের পর থেকে তার নিয়োগ কার্যকর হয়। আজ ছিল প্রধান বিচারপতি হিসেবে তার প্রথম বিচারিক কার্যদিবস।
আরও পড়ুন: দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন ওবায়দুল হাসান
শেষ কর্মদিবসে মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে কথা বললেন প্রধান বিচারপতি
১ বছর আগে
বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখুন: শেষ কার্যদিবসে প্রধান বিচারপতির আহ্বান
বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বাংলাদেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে তার মেয়াদের শেষ কার্যদিবসে আয়োজিত এক বিদায়ী সংবর্ধনায় তিনি এ আহ্বান জানান।
এসময় প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচার বিভাগ জনগণের মৌলিক অধিকারের রক্ষক। এটি সংবিধানের রক্ষকও বটে।
তিনি বলেন, তাই বিচারকদের সাহসী ও ন্যায়পরায়ণ হতে হবে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচার বিভাগ ব্যর্থ হলে বা আইনের নিরপেক্ষ প্রয়োগ থেকে বিচ্যুত হলে রাষ্ট্র ও নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হতে বাধ্য।
তিনি বলেন, প্রকৃত অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্রের বিকাশ, আইনের শাসন সংরক্ষণ, সমাজের দুর্বল জনগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিতকরণ এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য বিচার বিভাগের স্বাধীনতা অপরিহার্য।
বিচার বিভাগ যাতে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থাকে তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রভাব থেকে বিচার বিভাগকে রক্ষা করা বিচারক, আইনজীবী ও রাষ্ট্রের প্রত্যেক দায়িত্বশীল নাগরিকের দায়িত্ব।’
আরও পড়ুন: আইনজীবী ও বিচারক একে অপরের পরিপূরক: প্রধান বিচারপতি
তিনি বলেন, ‘যদি আমরা, আপনারা সবাই সেই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হই, প্রত্যেক নাগরিক কঠিন সময়ের মুখোমুখি হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক বিভাজন রাস্তা পেরিয়ে আদালতের দিকে এলে তা বিচার বিভাগের জন্য মঙ্গলজনক নয়। আমাদের মনে রাখতে হবে আইনজীবীদের মধ্যে বিভক্তি ও মতবিরোধ এবং তাদের প্রতিক্রিয়া বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করে।’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘যে মহান চেতনায় আমাদের সংবিধান প্রণয়ন করা হয়েছিল, তার প্রতি আমাদের সবার একটি মহান জাতীয় দায়িত্ব রয়েছে। দেশের সব আইন ও সব আইনি কার্যক্রম সাংবিধানিক চেতনার প্রতিফলন করবে, আমাদের অবশ্যই তা নিশ্চিত করতে হবে। জনগণ শান্তি চায়, কিন্তু সম্পূর্ণ শান্তির জন্য আমাদের এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।’
২৫ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি অবসরে যাচ্ছেন। তবে আজই ছিল তার শেষ কার্যদিবস। প্রথা অনুযায়ী সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের কোর্টরুম-১ এ বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকির ও সচিব আবদুন নূর দুলাল এবং অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সংবর্ধনা দেন।
অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতি ও আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিচার বিভাগ দুর্বল হলে সে রাষ্ট্রকে শক্তিশালী বলা যাবে না: প্রধান বিচারপতি
বিচারাধীন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ প্রধান বিচারপতির
১ বছর আগে
ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগকে ব্যবহার করছে সরকার: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার বিরোধী দল দমন-পীড়নে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার সবচেয়ে বড় অস্ত্র হিসেবে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, ‘এই ফ্যাসিবাদী সরকার বিচার বিভাগকে এর প্রধান ও বড় অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।’
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘সরকার বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে জনগণের মৌলিক, গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গণতন্ত্রকামী জনগণের আন্দোলন ও সংগ্রাম রুখে দিতে বিচার বিভাগের চরম হয়রানি ও দমন-পীড়নের শিকার হতে হচ্ছে।’
তিনি বলেন, সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে জাতিকে সীমাহীন সহিংসতা ও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ‘হামলার’ বিষয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের জানাল বিএনপি
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং চলমান আন্দোলনকে বানচাল করার উদ্দেশ্যেই আদালত তার বিরুদ্ধে 'নির্দেশিত' রায় দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তবে এভাবে আন্দোলন কখনো দমন করা বা থামানো যাবে না। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত জনগণ ঘরে ফিরবে না।’
ফখরুল বলেন, জুবাইদা রহমানের রাজনীতির সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা না থাকলেও তাকে 'মিথ্যা' মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, সব মামলায় তারেক রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। একই ধরনের মামলায় আওয়ামী লীগ নেতারা খালাস পেয়েছেন।
২০০৭ সালের এক-এগারো’র রাজনৈতিক পরিবর্তনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা ১৫টি দুর্নীতির মামলা বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: তারেক-জুবাইদার কারাদণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবার দেশব্যাপী বিএনপির সমাবেশ
তিনি বলেন, ‘এ কারণেই আমরা বলছি, তারা (সরকার) আসলে তাদের ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য আদালত ও বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে দোষী সাব্যস্ত করে ‘মিথ্যা’ মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এটা বিস্ময়কর যে বিচারিক আদালত তাকে (খালেদা জিয়া) ৭ বছরের সাজা দিয়েছেন এবং উচ্চ আদালত তা বাড়িয়ে ১০ বছর করেছেন। তবে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা একই ধরনের মামলায় জামিন ও খালাস পেয়েছিলেন এবং এমনকি এখন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।’
ফখরুল অভিযোগ করেন, বিচার বিভাগের পাশাপাশি সরকার সত্যকে দমন করতে এবং তাদের বক্তব্যকে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে গণমাধ্যমকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।
বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের উপর ছাত্রলীগের হামলার তীব্র নিন্দা জানান তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে ছাত্রলীগের ‘ক্যাডাররা’ নুরের উপর জঘন্য ও অমানবিকভাবে হামলা চালিয়ে তাকে আহত করেছে।
নুরের বাসভবনে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অভিযানের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো সভ্য দেশে এ ধরনের ঘটনা চলতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলন শেষে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নুরুল হক নুরকে দেখতে যান ফখরুল। সেখানে তিনি নুরের সঙ্গে কথা বলেন এবং চিকিৎসকদের কাছে তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়েছে: অভিযোগ ছেলের
১ বছর আগে
বিচার বিভাগকে স্মার্ট করতে পদক্ষেপ নিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। এখন আমাদের ভিশন ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার। আমরা বিচার বিভাগকে স্মার্ট করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে ‘স্মৃতি চিরঞ্জীব’ স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধন করেন এবং সুপ্রিম কোর্টের ১৪ তলা রেকর্ড ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগের সহযোগী সংগঠনের সমাবেশের জন্য মঞ্চ প্রস্তুত
শেখ হাসিনা বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে থাকবে স্মার্ট জনগণ, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সমাজ। তাই এক্ষেত্রে একটি স্মার্ট বিচারব্যবস্থা খুবই প্রয়োজন। আপনারা এরমধ্যে এ বিষয়ে অনেক দূর এগিয়ে গেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে একটি আইন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে মামলাজট তীব্র হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ভার্চুয়াল আদালত ব্যবস্থা প্রবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, ভার্চুয়াল আদালত ব্যবস্থার কারণে আজ মামলাজট লাঘব হয়েছে।
তিনি বলেন, আজ মামলাগুলো নিষ্পত্তি হচ্ছে এবং জনগণ দ্রুত বিচার পাচ্ছে (ভার্চুয়াল আদালতের কারণে)।
তিনি বলেন, জনগণ তার সরকারের তৈরি ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা ভোগ করছে।
এ ছাড়া ভার্চুয়াল আদালতের ব্যবস্থা করে মামলারজট হ্রাস করার জন্য বিচারকদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী ।
তিনি বলেন, এখন তালিকা অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে এবং লোকেরা এটি তাদের বাড়িতে বসেই দেখতে পাবে।
তিনি বলেন, ভার্চুয়াল আদালতে বাংলায় রায় প্রদানের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আদালতের রায় নিষ্পত্তি সংক্রান্ত তথ্য অনলাইনে দেওয়া হয়। প্রত্যেকেই তাদের মামলার আপডেট জানতে পারে।
তিনি বলেন, আমি মনে করি এই পদক্ষেপগুলো এদেশের মানুষের জন্য ন্যায়বিচার পাওয়া খুব সহজ করে তুলছে। তাই জনগণের মধ্যে ন্যায়বিচার পাওয়ার আশ্বাস ও আস্থা ফিরে এসেছে।
তিনি বলেন, জনগণের ন্যায়বিচার, গণতান্ত্রিক অধিকার, আর্থ-সামাজিক অধিকার, সাংস্কৃতিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ তার নিজস্ব গতিতে দ্রুত এগিয়ে যাবে।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মমতাজউদ্দিন ফকির।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন- সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮০.৩৯ শতাংশ
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীর সমাগম
১ বছর আগে
বিচার বিভাগ দুর্বল হলে সে রাষ্ট্রকে শক্তিশালী বলা যাবে না: প্রধান বিচারপতি
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, বিচার বিভাগ যদি দুর্বল হয় তাহলে সে রাষ্ট্রকে শক্তিশালী বলা যাবে না।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রের যে তিনটি অঙ্গ; সেই অঙ্গের একটি হলো বিচার বিভাগ। যদি জুডিশিয়ালি (বিচার বিভাগ) দুর্বল হয়, তাহলে সেই রাষ্ট্রকে শক্তিশালী বলা যাবে না। আর তাই আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, যাতে করে পাবলিক (সাধারণ জনগণ) ন্যায়বিচার প্রার্থনায় আদালতে আসেন।
আরও পড়ুন: বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হলে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে: প্রধান বিচারপতি
শনিবার (৮ জুলাই) দুপুরে পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে বিচারপ্রার্থীদের বিশ্রামাগার ন্যায় কুঞ্জের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, জনগণ যাতে সহজে স্বল্প সময় ও খরচে ন্যায় বিচার পায় তা নিশ্চিত করতে আমরা চেষ্টা করছি। বিচার বিভাগকে গতিশীল করে দ্রুততম সময়ে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করতে বিচারকদের তাগিদ দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা হিসেব-নিকেশ করে দেখেছি যে ডিস্পোজালের (নিষ্পত্তি) রেট মোটামুটি ১২৫ শতাংশ করা যায় তাহলে এখন থেকে ৫-৭ বছরের মধ্যে বর্তমান যে মামলার জট রয়েছে তা আসতে আসতে কমে যাবে।
আরও পড়ুন: আইনজীবী ও বিচারক একে অপরের পরিপূরক: প্রধান বিচারপতি
দেশের কোর্টগুলোতে প্রায় ৪০ লাখ মামলা বিচারাধীন: প্রধান বিচারপতি
১ বছর আগে
বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হলে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে: প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, ইদানীং সবার মধ্যে কেমন যেন একটা অসহনশীলতা দেখা যাচ্ছে। এ অসহিষ্ণুতা বিচার বিভাগকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
তিনি বলেন, বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হলে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে, রাষ্ট্রের অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাহলে আমরা আইনের শাসনের জন্য যে সংগ্রাম করে যাচ্ছি, তা প্রতিষ্ঠা করতে পারব না।
আরও পড়ুন: স্বল্প সময়ে বিচারকাজ সম্পন্ন করা বিচারক ও আইনজীবীদের দায়িত্ব: প্রধান বিচারপতি
রবিবার বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর আইনজীবী সমিতি ভবনে আইনজীবীদের আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।
এ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ওহিদুজ্জামান। সভা পরিচালনা করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ ব্যাপারী।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনাদের ভাবতে হবে, আপনারা আদালতের অংশ। আপনাদের সাহায্য ছাড়া আদালত ঠিকমতো সচল রাখা সম্ভব নয়। আমরা আইনজীবী ও বিচারকেরা মিলে একসঙ্গে চেষ্টা করতে চাই, যেন মামলার জট ছেড়ে যায়।
তিনি বলেন, আমি মনে করি জুডিশিয়ালিতে বিচারক যদি হয় ডান হাত, তাহলে আইনজীবী বাম হাত। এক হাত যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে কাজ ঠিকমতো হবে না।
তিনি বলেন, দেশের তিনটি স্তম্ভ বিচার বিভাগ, শাসন বিভাগি ও আইন বিভাগ। এর কোনো একটা যদি দুর্বল হয় তাহলে সে রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়, গণতন্ত্র দুর্বল হয়। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয় না। তাই আসুন আমরা সকলে সম্মেলিত চেষ্টায় বিচার বিভাগকে এগিয়ে নিয়ে যাই।
এর আগে প্রধান বিচারপতি ফরিদপুরে জজ কোর্ট প্রাঙ্গণে ‘ন্যায়কুঞ্জ’ নামে একটি বিচার নিতে আসা ব্যক্তিদের জন্য একটি বিশ্রামাগার স্থাপনের জন্য ভিত্তি ফলক উন্মোচন করেন।
এ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, দেশে ৪০ লাখ মামলা বিচারাধীন। এসব মামলায় কমপক্ষে চার কোটি লোক জড়িত। তাদের কথা চিন্তা করে এ বিশ্রামাগার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া এখানে পানি পান ও শৌচাগারের সুবিধা থাকবে। বিচার চাইতে এসে যেন কাউকে এলোমেলো ঘোরাফেরা করে দুর্ভোগে পড়তে না হয়, এজন্য এই ব্যবস্থা।
তিনি বলেন, এসব বিশ্রামাগার নির্মাণের জন্য আইন মন্ত্রণালয় ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। প্রতিটি জেলা এ বিশ্রামাগার নির্মাণের জন্য ৫০ লাখ টাকা পাবে।
এছাড়া কাজ যাতে ঠিক মত হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ঠিকাদার যেন চুরি না করে। কম লাভ করে তারা যেন এ কাজ করে দেয়।
প্রধান বিচারপতি ফরিদপুরের মামলার নিষ্পত্তির হার বেশি হওয়ায় বিচারক ও আইনজীবীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ফরিদপুরে ২৫ হাজার ৫৫৭টি মামলা হয়েছে। নিষ্পত্তি হয়েছে ৩০ হাজারের বেশি মামলা। নিষ্পত্তির হার ১১৪ শতাংশ। এ ঘটনা আমাদের আশা জাগায়।
আরও পড়ুন: সমিতির নির্বাচন বিষয়ে প্রধান বিচারপতির করণীয় কিছু নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল
প্রধান বিচারপতির কাছে অভিযোগ উপস্থাপন করলেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা
১ বছর আগে
ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় চাই শক্তিশালী বিচার বিভাগ: প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার জন্য বিচার বিভাগকে শক্তিশালী করতে হবে।
তিনি বলেন, আসুন ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার জন্য জুডিশিয়ারিকে (বিচার বিভাগকে) শক্তিশালী করি। জুডিশিয়ারি যাতে মসৃণভাবে চলতে পারে, স্বাধীনভাবে বিচার কাজ পরিচালনা করতে পারে, আপনারা বিচার বিভাগকে সহায়তা করবেন। তাহলে বিচার বিভাগ এগিয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে বাগেরহাটের পিসি কলেজের সাবেক ছাত্রদের পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতিকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: বর্তমানে বিচার ব্যবস্থায় দীর্ঘসূত্রিতা বেড়েছে: প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে গেলে সবার আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে। জুডিশিয়ারিকে গতিশীল করতে হবে। আমি বার বার বলি যদি জুডিশিয়ারি ফেল করে গণতন্ত্র ফেল করবে। আর গণতন্ত্র ফেল করলে রাষ্ট্র অকার্যকর হবে। আসুন আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করি এই বিচার বিভাগের চাকাটা কীভাবে একটু সচল করা যায়।
তিনি বলেন, আমাদের পরাজয় মেনে নেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। কারণ পরাজয়ই একজনকে জয়ী করার পথ সুগম করে দেয়।
বিচারপতি বলেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের সেই গ্রাম থেকে উঠে আসা। তারা যখন আদালতের বারান্দায় ঘোরে, আমাদের উচিত তাদের যত কম খরচে পারা যায় বিচার দেয়া। সকলের সহযোগিতা ছাড়া একা জুডিশিয়ারিকে এগিয়ে নেয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, দেশের অধিকাংশ মানুষ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে উঠে এসেছেন। তারা যখন আদালতের বারান্দায় ঘোরেন, আমাদের উচিত তাদের যত কম খরচে বিচার দেয়া। তাদেরকে যদি একদিন আগেও আদালতের বারান্দা থেকে বাড়ি ফেরাতে পারি তাহলে তারা একদিন ঘোরা থেকে বাঁচলেন।
প্রধান বিচারপতি বলে, ১৯৭১ সালে যে উদ্দেশ্য নিয়ে ৩০ লাখ মানুষ রক্ত দিয়েছেন, আমরা তার সুবিধাভোগী। যারা বুকের রক্ত দিয়ে দেশকে স্বাধীন করে দিয়েছেন তাদেরকে বুকে ধারণ করতে হবে। এখন যদি আমরা কাজে গাফিলতি করি, কোনো প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিগ্রস্ত করি, তাহলে তাদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাস ঘাতকতা হবে। আসুন সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করি।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংবর্ধনা কমিটির আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শেখ আলী আহমেদ খোকন। পি সি কলেজিয়ানস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহতাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন-প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি শেখ আব্দুল আউয়াল, জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, সম্পাদক আব্দুন নূর দুলাল, আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা অধ্যাপক মাজাফফর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে মো. নূরুজ্জামান
প্রতি বছর ‘প্রধান বিচারপতি পদক’ প্রদানের সিদ্ধান্ত, নীতিমালা প্রণয়ন
২ বছর আগে