পূর্ব বিরোধের জের ধরে ছাত্রলীগের আবুল কাশেম পল্লব গ্রুপ এবং স্বাধীন গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। প্রায় মাসখানেক পূর্বে এই দু’গ্রুপের মধ্যে পৃথক আরেকটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বিয়ানীবাজারে ছাত্রলীগের মোট ৬টি গ্রুপ পৃথকভাবে তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। এখানে প্রায় একযুগ থেকে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দু’পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া চালায়। এসময় তাদের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। আধিপত্য বজায় রাখা নিয়ে বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে সশস্ত্র অবস্থায় কলেজে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের পল্লব গ্রুপ। এ খবর পেয়ে স্বাধীন গ্রুপের নেতা-কর্মীরা সশস্ত্র অবস্থায় কলেজের প্রধান গেট দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে চাইলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
একপর্যায়ে সংঘর্ষ ক্যাম্পাসের বাইরে ছড়িয়ে পড়লে কলেজ রোডের আবুল হোসেনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও জামাল হোসেনের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। চোরাগোপ্তা হামলার শংকায় শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক দ্বারকেশ চন্দ্র নাথ জানান, ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ হয়।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অবনী শংকর কর বলেন, ছাত্রলীগের পল্লব ও স্বাধীন গ্রুপের নেতা-কর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়েছে।
কলেজ ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের অবস্থানের কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কলেজ প্রশাসন চাইলে বহিরাগতমুক্ত কলেজ ক্যাম্পাস রাখতে পুলিশ কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলেও জানান ওসি।