আটককৃত মরিয়ম বেগম কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার থানা এলাকার মোসাদ্দেক মোবারক আলীর স্ত্রী এবং সাভারের বিরুলিয়ার গোলাপ গ্রামে ওমর ফ্যাশন লিমিটেডের পরিচালক।
শনিবার রাতে রাজধানীর মিরপুরের ইষ্টার্ন হাউজিং এলাকা থেকে তাকে আটক করে সাভার মডেল থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ওমর ফ্যাশন লিমিটেড নামে ওই পোশাক কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে ৬৯ জন শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করে আসছিলেন। তাদের আগষ্ট, সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসের বেতন দেয়ার কথা ছিলো নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে। কিন্তু মালিকপক্ষ বিভিন্ন অজুহাতে শ্রমিকদের তিন মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ না করে তাদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে কৌশলে কারখানায় তালা ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।
এ ঘটনায় শ্রমিকদের পক্ষ থেকে শফিকুল ইসলাম নামের এক শ্রমিক সবাইকে সাথে নিয়ে ১০ নভেম্বর সাভার মডেল থানায় উপস্থিত হয়ে কারখানাটির চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক মোবারককে প্রধান আসামি এবং ভবন মালিক মোহাম্মদ বিল্লালকে দুই ও পরিচালক মরিয়ম বেগমকে তিন নাম্বার আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর পুলিশ মাঠে নামলেও ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করায় আসামিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে শনিবার রাতে কারখানার পরিচালক মরিয়ম বেগম মিরপুরের ইষ্টার্ন হাউজিংয়ের পল্লবী এলাকার ভাড়া বাড়ি থেকে আসবাবসহ পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তাকে আটক করে।
এদিকে তিন মাসের বকেয়া বেতন না পাওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন ওই কারখানার শ্রমিকরা। আটক হওয়া ওই পরিচালকের শাস্তির দাবি ও বকেয়া বেতনের জন্য সাভার মডেল থানায় জড়ো হন অনেক শ্রমিক।
তাদের দাবি, ওই কারখানার ৬৯ জন শ্রমিক-কর্মচারীর তিন মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে প্রায় ২১ লক্ষ টাকা। কিন্তু মালিকপক্ষ কারখানার প্রস্তুত করা শিপমেন্টের কাপড় রপ্তানি করার পরে বায়ারদের কাছ থেকে ২১ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ না করে নিজেরাই তা ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছেন।
এছাড়া মামলার অন্য দুই আসামিকে আটক করতেও বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম।