অভিযোগ রয়েছে, প্রশাসনের নাকের ডগায় চেকপোস্টের বৈধ ও অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীরা পাসপোর্টধারী যাত্রীদের মাধ্যমে সীমান্ত পথে অর্থ পাচার করছে। কেউ কেউ আটক হলেও প্রকৃত চোরাকারবারীরা পর্দার আড়ালে থেকে যায়।
বেনাপোল আর্ন্তজাতিক চেকপোস্ট এলাকায় ভারতের সাথে ৫ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এ সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অর্থ পাচার হয়ে থাকে। বিশেষ করে ব্যাংক হিসাব বিবরণী দিয়ে ভিসা পাওয়া পাসপোর্টধারী যাত্রীরা ভারতে যাওয়ার সময় হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ নিয়ে যান। এছাড়া চোরাচালানীরা লেনদেন হুন্ডির মাধ্যমে করে থাকে।
যশোর ৪৯ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সেলিম রেজা জানান, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় অর্থ পাচারকারীরা বেনাপোল সীমান্ত ব্যবহার করে থাকে। এ ক্ষেত্রে বিজিবি সতর্ক রয়েছে ও গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধিসহ আধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা হচ্ছে। গত ২ বছরে ১৬ কোটি টাকা জব্দ করা হয়েছে।
নাভারণ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জুয়েল ইমরান জানান, শার্শা ও বেনাপোল পোর্ট থানায় গত ২ বছরে অর্থপাচার আইনে ৯৭ জনকে আসামি করে ৭১টি মামলা হয়েছে। এ সময় ৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা, ৮ লাখ ইউএস ডলার, ৮ লাখ রুপি ও ৭০ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড জব্দ করা হয়েছে।
অর্থ পাচার প্রতিরোধে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।