বৃহস্পতিবার যশোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দিন হুসাইনের আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
এর আগে, গত ১৭ ডিসেম্বর দেব প্রসাদকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর যশোরে নিয়ে আসে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ। পরে আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়। দেব প্রসাদ খুলনার তেরখাদা উপজেলা সদরের সুরেন্দ্রনাথ সাহার ছেলে।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দেবপ্রসাদ সাহার নামে গত ১৫ ডিসেম্বর বেনাপোল পোর্ট থানায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়।’
২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ১৭ আগস্ট পর্যন্ত বেনাপোল ইমিগ্রেশন বিভাগে কর্মরত ছিলেন গ্রেপ্তার হওয়া দেব প্রসাদ সাহা। সেখানে কর্মরত অবস্থায় তিনি বিভিন্ন সময় সীমান্তরেখা অতিক্রম করে ভারতে যাওয়া আসা করতেন।
বেনাপোলে দায়িত্ব পালনকালে বিশেষ বাহিনীর দুই সদস্যের সাথে তার সম্পর্ক হয়। ওই দু’জন মাঝে মধ্যে বেনাপোলে গিয়ে ভারতের এস চক্রবর্তী ও পিন্টু নামে দুই জনের কাছে বাংলাদেশের গোপনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করতেন।
২০১৮ সালে শেষের দিকে দেব প্রসাদ সাহা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংবলিত একটি পেনড্রাইভ ভারতে পাচার করেন। এর ১৫ দিন পর বিশেষ বাহিনীর এক সদস্যের কাছ থেকে এনে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংবলিত পেনড্রাইভ ভারতের এস চক্রবর্তী ও পিন্টুর কাছে হস্তান্তর করেন তিনি।
পুলিশ জানায়, গত ২৫ অক্টোবর ঢাকার কমলাপুরের এক হোটেল থেকে ডিজিএফআই ও র্যাবের হাতে শাহানেওয়াজ শাহিন নামে এক সৈনিক আটক হন। এসময় তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি পেনড্রাইভ উদ্ধার করা হয়। পরে তিনি ভারতের কাছে তথ্য পাচারের বেশ কিছু তথ্য দেন।
পরবর্তীতে এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে অনুসন্ধানে নামে পুলিশ সদর দপ্তর। তদন্তে, অভিযুক্তদের মোবাইল ফোনের কললিস্ট থেকে ভারতে বাংলাদেশের তথ্য পাচারের বিষয়টি উঠে আসে। এরপরই দেব প্রসাদের নামে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা দায়ের ও তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।