রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। তারা ঢাকার মিরপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা।
তাদের যশোরের ঝিকরগাছার গাজীর দরগাহের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৬৫ তাবলিগ জামায়াত কর্মী বৈধভাবে ভারতে যান। পরে ভারতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এ অবস্থার মধ্যে তাবলিগ কর্মীরা সেখানে অবস্থান করছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর অভিযোগ আসে। পরে সে দেশের পুলিশ তাদের আটক করে হরিয়ানা জেলখানায় পাঠায়। সেখানকার আদালত তাদের চার মাস সাজা দেয়। সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে দুই দেশের মধ্যে সরকারিভাবে যোগাযোগের পর রবিবার তারা দেশে ফিরে আসেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাসিন খান বলেন, ‘ভারতে আটক তাবলিগ জামায়াতের আট নারীসহ ১৭ জনকে ভারতীয় ইমিগ্রেশন হস্তান্তর করেছে।’
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘ফেরত আসা তাবলিগ সদস্যদের প্রাথমিকভাবে শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। যেহেতু তারা দীর্ঘদিন ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে গণজামায়াতের মধ্যে ছিলেন, তারপর তারা চার মাস জেলহাজতে ছিলেন তাই শরীরে করোনাভাইরাস আছে কি না তা নিশ্চিত হতে তাদের ১৪ দিনের জন্য সরকারি তত্ত্বাবধানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।’