নিহতের মধ্যে দুজন বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে এবং অপরজব সন্ধ্যার আগে মারা গেছেন বলে হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরশ্বাদ উল্লাহ নিশ্চিত করেছেন।
মৃতরা হলেন- ঘিওর উপজেলার কেল্লাই গ্রামের আব্দুল মাজেদ(৫৫), মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার হাটিপাড়া গ্রামের স্বপন কুমার মন্ডল(৫০) এবং মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার জরিনা বেগম (৫০)।
ডা. আরশ্বাদ উল্লাহ জানান, নিহতরা সবাই শ্বাসকষ্ট ও কাশি ছিল। জরিনা বেগম বুধবার সকালে এবং অন্যদুজন তার আগের দিন মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের সকলেরই নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে এবং এবিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আইরিন আক্তার জানান, আব্দুল মাজেদের লাশ আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে তার স্বজনরা তার নিজ গ্রাম কেল্লাই নিয়ে গেছেন। তাকে বিধান অনুযায়ী দাফন, বাড়ি লকডাউন এবং তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের ১৪ দিনের কোযারেন্টাইনে রাখা হবে।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা ডা. মো. লুৎফর রহমান জানান, নিহত স্বপন কুমার মন্ডল নিজ এলাকায় প্রাইভেট টিউশনি করতেন। তার লাশ তার নিজ গ্রাম হাটিপাড়ায় নেওয়া হচ্ছে। বিধান অনুযায়ী দাফন, তার বাড়ি লকডাউন এবং তাঁর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন জানান, নিহত জরিনা বেগম মানিকগঞ্জ ডায়াবেটিক হাসাপাতালের পরিচ্ছন্নতা কর্মী ছিলেন। তাকে সরকারী বিধানমতে দাফন এবং তার বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়া, তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।