এ ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে গত ১৪ জুন ভু্ক্তভোগী সৈয়দ আহমেদ তাওহীদ নোয়াব জেলা প্রশাসকের কাছে এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করেন।
তবে অভিযোগটি ফৌজদারি অপরাধ হওয়ায় জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস এ ব্যাপারে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে অভিযোগটি পুলিশ সুপারের কাছে পাঠিয়েছেন। পরে পুলিশ সুপার রিফাত রহমান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে জেলা সদরে ‘উইঙ্ক নেটওয়ার্ক নামের একটি ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বৈধভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। গত ১৪ জুন জেলা সদরের গড়পাড়া ইউনিয়নে প্রায় আট কিলোমিটার ফাইবার তার কেটে নিয়ে যায় স্থানীয় চান্দহর এলাকার মহব্বত খান ও তার সহযোগীরা। একইসঙ্গে ৪০-৪৫টি মূলবান ইন্টারনেট ডিভাইসও লুট করে নিয়ে যায়। এতে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৬ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়।
এর আগে, গত ১২ জুন মহব্বত খানের সহযোগী মো. অর্জন ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধি সৈয়দ আহমেদ তাওহীদ নোয়াব ও তার এক বন্ধুর কাছে মুঠোফোনে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। অন্যথায় হত্যার হুমকি দেন।
ভূক্তভোগী সৈয়দ আহমেদ তাওহীদ নোয়াব অভিযোগ করেন, চাঁদার টাকা না দেয়ায় ইন্টারনেটের ডিভাইসসহ বিপুল পরিমাণ ফাইবার তার কেটে নেন মহব্বত ও তার লোকজন। এতে গড়পাড়া ইউনিয়নের কয়েকশ ইন্টারনেট সেবাগ্রহীতারা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
ইউনিয়নের পাঞ্জনখাড়া এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন সেবা গ্রহীতা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিশু সন্তানদের ইন্টারনেট ভিত্তিক ক্লাসগুলো কিছুটা হলেও সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। তবে গত এক সপ্তাহ ধরে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকায় শিশু-শিক্ষার্থীরাও ভোগান্তিতে পড়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মহব্বত খান বলেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।