মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম শানবান্দা গ্রামে ঘরের মেঝে থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধারের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই নারীর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
হত্যার শিকার রোকসানা জেলার সিংগাইর উপজেলার বায়রা নয়াবাড়ী এলাকার মৃত ছইজুদ্দীনের মেয়ে এবং গ্রেপ্তার আসামি মো. বাবুল হরিরামপুর উপজেলার দরিকান্দি এলাকার শেখ কাশেম আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: দামুড়হুদায় ১২ ঘণ্টায় হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৩
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর থানায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে রোকসানা হত্যার রহস্য উন্মোচন করেন পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান।
পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান বলেন, বাবুল ৩ বছর আগে রোকসানাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পরেই সৌদি আরবে চলে যায় রোকসানা। বিদেশ থেকে নিয়মিতভাবে দেশে স্বামীকে টাকা পাঠান তিনি। সেই টাকা দিয়ে শানবান্দা এলাকায় জমি কিনে একতলা বাড়ি নির্মাণ করেন বাবুল।
এদিকে ৬ অক্টোবর ছুটিতে দেশে আসেন রোকসানা। সাভারের একটি ভাড়া বাসায় স্বামী বাবুলসহ বসবাস করতেন। ১৩ অক্টোবর শানবান্দা গ্রামের ওই বাড়িতে আসেন রোকসানা-বাবুল দম্পত্তি। রাতে সেখানে পারিবারিক বিষয় নিয়ে রোকসানার সঙ্গে বাবুলের কথা কাটাকাটি হয়।
এরপর একসময় রোকসানা ঘুমিয়ে গেলে ভোরে রোকসানাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন বাবুল। এরপর পাশের ঘরের মেঝেতে লাশ পুঁতে রেখে পালিয়ে যান বাবুল।
ওই বাড়ি থেকে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ এলে আশেপাশের লোকজন নির্মাণাধীন ওই বাড়িতে প্রবেশ করে এবং রুমের ভেতর থেকে গন্ধের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে রুমের ভেতরের মাটি সরালে হাত বেরিয়ে আসে।
পরে বিষয়টি মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই নারীর লাশ উদ্ধার করেন। নিহতের ভাই খবর পেয়ে জেলা হাসপাতালে এসে পরিচয় শনাক্ত করে।
এ ঘটনায় মামলার পর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুলনা হাদিস পার্কের সামনে থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে বাবুলকে।
এরপর রোকসানাকে হত্যার পুরো বিষয়টি প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন বলে জানান পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার বাবুলের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা চলমান।
আরও পড়ুন: চাঞ্চল্যকর মামলার তথ্য উদঘাটন করায় পিবিআই'র ভূয়সী প্রশংসা আইজিপির