পুলিশ আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িতে গেলেও তারা চিকিৎসার জন্য তেমন কোনো সহযোগিতা করতে পারেনি। এমনি কি সংক্রমণের ভয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে কোনো অ্যাম্বুলেন্সও পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার মেদিনীমন্ডল ইউনিয়নের যশলদিয়া পদ্মা সেতু পুনর্বাসন কেন্দ্রের এক যুবক (১৮) যশলদিয়া পানি শোধনাগার কেন্দ্রে কাজ করেন। গত দুই দিন ধরে তিনি সকালে কাজের উদ্দেশে পানি শোধনাগার কেন্দ্রে গেলে সেখানে কর্মরত চীনা নাগরিক ও অন্যদের মতো তারও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। এসময় শরীরে অতিরিক্ত তাপমাত্রা থাকার কারণে তাকে কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। পরে ইসমাইল বাড়ি এসে একদিন পরে বুধবার আবারও কাজে যায়। কিন্তু বুধবারও সেই একই ঘটনা ঘটে। বাধ্য হয়ে তিনি বাড়ি চলে আসেন। এতে স্থানীয় জনসাধারণ ভীত হয়ে পড়েছে।
পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেন খান বিষয়টি প্রশাসনকে জানান এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থায় নেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও পুলিশের সাথে যোগাযোগ করেন। কিন্তু পুলিশ সেখানে গেলেও যুবককে চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা করতে পারেনি। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করেও এই যুবককে হাসপাতালে নিতে কোনো অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায়নি।
অভিযোগ উঠেছে, সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের চালক শাহজালাল রোগীকে বহনে অনীহা প্রকাশ করায় তাকে হাসপাতালে আনতে সমস্যা হচ্ছিল।
এ ব্যাপারে লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাবিরুল ইসলাম খান জানান, হাসপাতালের একটি কক্ষ আগেই আইসোলেশনের জন্য খালি করা হয়েছে। রোগীকে এখানে আনা যাচ্ছে না। তাই রোগীকে আপাতত ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার মো. শামীম জানান, রাতেই তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ডা. কামরুল জামাদ্দারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল টিম যুবকের বাড়িতে যাচ্ছে। একই সাথে ঢাকায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকার আইসিডিডিআরের একটি টিম গিয়ে তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবে। তবে তিনি করোনায় আক্রান্ত কিনা তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সেরকম কিছু হলে অবশ্যই তার চিকিৎসার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সিভিল সার্জন ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ জানান, যেহেতু সন্দেহ করা হচ্ছে, তাই ওই যুবককে অন্তত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি কক্ষে আলাদা রাখার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে।