রবিবার রাত দেড়টার দিকে বরিশাল থেকে ঢাকাগামী কীর্তণখোলা-১০ ও ফারহান-৯ লঞ্চের এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।
নিহতরা হলেন- বরিশালের মেহিন্দীগঞ্জ এলাকার রুবেল হোসেনের স্ত্রী মাহমুদা (২৫) ও তার ছেলে মমিন (১০)।
নিহত মাহমুদার স্বামী রুবেল হোসেন জানান, পরিবার নিয়ে রাত ৯টায় বরিশাল টার্মিনাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে এমভি কীর্তণখোলা-১০ লঞ্চে রওনা দেন তিনি। রাত দেড়টায় বরিশাল জেলার হিজলা এলাকায় তাদের লঞ্চটি পৌঁছলে এমভি ফারহান-৯ ধাক্কা দেয়। নিচতলার ডেকে ঘুমান্ত অবস্থায় তার স্ত্রী ও ছেলে মারা যান। আর জেগে থাকার কারণে তিনি বেঁচে যান।
ঢাকা সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম ভূঁইয়া জানান, ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ নৌ-পুলিশের সহায়তায় সোমবার বেলা ১১টার দিকে লঞ্চের নিচতলার ডেক থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
আহত যাত্রীদের চাদঁপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায় তাদের নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।