আটক জিতেন ধর (৪৮) পুঠিয়া থানার পুঠিয়া শিবচৌকি উত্তরপাড়া এলাকায় বসবাস করেন।
শনিবার রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক সংবাদ সম্মেলনে জানান, নগরীতে ছোট ভাই জিতেনের পূর্ব পরিকল্পনাতেই বড় ভাই দ্বিজেন ধরের (৫০) সোনার ১৭ বার পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই করা হয়। বারগুলোর ১৭০ ভরি সোনার মূল্য প্রায় ১ কোটি ১২ লাখ ৭১ হাজার টাকা।
এ ঘটনায় বোয়ালিয়া থানায় জিতেনসহ ছয়জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:রাজশাহী নগরীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে ১৭০ ভরি স্বর্ণ ছিনতাই
পুলিশ কমিশনার জানান, মামলার বাদী ফেনী সদর উপজেলার মাস্টারপাড়া গ্রামের দ্বীনেশ ধরের ছেলে দ্বিজেন ও তার মেজ ভাই ঘটনার মূল হোতা জিতেন বোয়ালিয়া থানায় গিয়ে জানান, প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি ও হ্যান্ডকাপ দেখিয়ে তাদের কাছে থাকা ১৭ স্বর্ণের বার ছিনিয়ে নেয়া হয়।
তিনি জানান, দ্বিজেন সোনার বার বিক্রি করতে ২১ ডিসেম্বর সকালে বাসে করে পুঠিয়ায় নেমে তার মেজ ভাই জিতেনের বাড়িতে যান। বারগুলো সাহেব বাজার সোনাপট্টির ‘লাইলা জুয়েলার্স’-এর মালিক মানিকের কাছে বিক্রির কথা ছিল। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে দ্বিজেন ও জিতেন পুঠিয়া থেকে সোনাগুলো নিয়ে বাসযোগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর ভদ্রা মোড়ে পৌঁছেন। দুই ভাই ভদ্রা মোড় থেকে দক্ষিণ দিকের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় দুটি মোটরসাইকেলে করে অজ্ঞাতনামা চারজন নিজেদের ‘প্রশাসনের লোক’ পরিচয় দেন ও তাদের মধ্যে একজন দ্বিজেনকে হ্যান্ডকাপ দেখান। পরে তারা জিতেনের কাছে থাকা সোনার বারের ব্যাগটি জোরপূর্বক কেড়ে নেন ও তাদের নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে শিরোইল শুভ পেট্রোল পাম্পের কাছে যান। সেখানে ছিনতাইকারীরা দ্বিজেন ও জিতেনকে হুমকি দিয়ে তাদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেন।
আরও পড়ুন: যশোরে স্বর্ণের ২০ বারসহ যুবক আটক
যশোরে প্রায় ৫ কোটি টাকার ৬০টি স্বর্ণের বার জব্দ
এ ঘটনায় দ্বিজেন নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আবু কালাম সিদ্দিক জানান, মামলার পর ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করা হয়। ২৫ ডিসেম্বর ভোরে বোয়ালিয়া মডেল থানার সহকারী কমিশনার (এসি) ফারজিনা নাসরিনের নেতৃত্বে জিতেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এক পর্যায়ে তিনি স্বীকার করে যে তার বাড়িতে সোনা আছে। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১৬টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: টেকনাফের এক বাড়ি থেকে ৮৫ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার
সিলেট বিমানবন্দরে ১৪টি সোনার বারসহ দুবাই ফেরত যাত্রী গ্রেপ্তার
বাকি একটি বার তিনি নাটোর সদরের লালবাজার বাহাদুর শাহ মার্কেটের ‘বিনয় জুয়েলারী ও জুয়েলারী স্টোর’ নামক একটি স্বর্ণের দোকানে ৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।