আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় কাঠের সাঁকো ভেঙে দুর্ভোগে ১৫ লাখ মানুষ
সংশ্লিষ্টরা জানান, গত পাঁচ থেকে ছয় বছর যাবৎ সড়কে এই অবস্থা বিরাজ করছে। সড়কটি মেরামতের জন্য কোনো প্রকার ব্যবস্থও নেয়া হচ্ছে না। দিনের পর দিন ভোগান্তি পোহাচ্ছেন শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা। এই সড়কটি ব্যবহার করছে সাতটি গ্রামের মানুষ। আর উপজেলার সেবা গ্রহনের জন্য যাতায়াতের এই রাস্তাটিই একমাত্র ভরসা তাদের। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে স্থানীয়রা। সড়কপথের আশে পাশে কোনো মাধ্যমিক/উচ্চ বিদ্যালয় না থাকায় প্রতিদিন শত-শত শিক্ষার্থীরা তাহিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করতে হয়। উপজেলার একমাত্র কলেজেও এই সড়ক দিয়েই যাতায়াত করছে শিক্ষার্থীরা। প্রতিদিন ছোট-বড় সড়ক দুর্ঘটনা লেগেই আছে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, চরম দুর্ভোগে ডিএনডিবাসী
শিক্ষার্থী ইমন জানায়, নিয়মিত ক্লাস করতে হলে তাকে প্রতিদিন স্কুলে যেতে হয়। কিন্তু সড়ক ভালো না থাকায় কোনো প্রকার গাড়িতে চলাও সম্ভব হয় না। আবার হেঁটে যাওয়াও অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। তখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অটো বা মোটরসাইকেল দিয়ে যেতে হয়। আমি চাই দ্রুত রাস্তা মেরামত করা হউক।
মোটরসাইকেল চালক সাইফুল বলেন, রাস্তায় ভাঙা থাকায় প্রতিদিন মানুষসহ গাড়িরও বিভিন্ন ক্ষতি হয়। তখন নতুন গাড়ি ক্রয় করে আবার ভাড়ায় চালাতে হয়। আমরা এর নিরসন চাই। আমাদের রাস্তার উন্নয়নমূলক কাজ চাই।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়-দেবীগঞ্জ সড়কের বেহাল দশা, দুর্ভোগ চরমে
যোগাযোগ করা হলে তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন, সড়কটি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত আছে। সরকারি বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে।