রবিবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আহসান উল্লাহ শরিফী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওই স্বাস্থ্যকর্মী মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পিছনে একটি বাড়ির ভাড়াটিয়া। তিনি ঝাঁপা ইউনিয়নে কর্মরত এবং বর্তমানে তিনি মুজগুন্নী গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে রয়েছেন।
করোনা শানাক্ত হওয়ায় সেই ভাড়াবাড়ি, মশ্মিমনগরে তার নিজের বাড়ি এবং শ্বশুর বাড়ি লকডাউনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক আব্দুল মজিদ।
মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ বলেন, ‘মণিরামপুর হাসপাতাল থেকে সন্দেহভাজন ১১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে খুলনায় পাঠানো হয়েছিল। তার মধ্যে একজনের রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। তিনি আমাদের স্বাস্থ্য কর্মী।’
তিনি আরও বলেন, ‘যশোর থেকে অ্যাম্বুলেন্স আসছে। তাকে সিভিল সার্জন অফিসে পাঠানো হচ্ছে। সেখান থেকে তার চিকিৎসার বিষয়টি সিদ্ধান্ত হবে।
ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফী বলেন, ‘ওই স্বাস্থ্যকর্মী যাদের সাথে মিশেছেন সেই ব্যাপারে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ওই স্বাস্থ্যকর্মীর বাড়ি লকডাউন করা হবে।’
যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন জানান, যশোর জেলায় মোট ১০১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে খুলনায় পাঠানো হয়েছে। তারমধ্যে ৩২ জনের নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে এবং মৌখিকভাবে খুলনা থেকে জানানো হয়েছে একজনের পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে, আক্রান্ত ব্যক্তি একজন স্বাস্থ্যকর্মী। তাকে সিভিল সার্জন অফিসে আনা হচ্ছে। সেখান থেকে তার চিকিৎসার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে।’