যশোরের শার্শা উপজেলার ধানতাড়া গ্রামে ৬ বছর বয়সী এক শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে এক বৃদ্ধকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক আবু ছিদ্দিক গাজী (৭০) ওই গ্রামের মৃত মনির উদ্দীন গাজীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের ধান্যতাড়া গ্রামের মফিজুর রহমানের ৬ বছর বয়সী কন্যা মঙ্গলবার বিকালে তার সঙ্গীদের নিয়ে বাড়ির পাশে ঘেরের পাড়ে খেলা করছিল। এ সময় ঘের মালিক আবু ছিদ্দিক কৌশলে অন্য শিশুদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে ওই শিশুটিকে থাকতে বলে। পরে প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। শিশুটির মা মেয়েকে খুঁজতে গিয়ে বিষয়টি দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে ধর্ষক শিশুটিকে ফেলে পালিয়ে যায়।
অঅরও পড়ুন: রাজশাহীতে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে কিশোর গ্রেপ্তার
ধর্ষণের শিকার শিশুটির চাচা মিন্নু বলেন, ‘রাতেই শার্শা থানায় ধর্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছি। আমাদের মেয়ের ওপর যে অত্যাচার হয়েছে তার বিচার চাই এবং ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম খান জানান, আটক আবু ছিদ্দিক প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদে ধর্ষণের ঘটনার স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা রুজু হয়েছে। তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে।
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে গত ১৭ নভেম্বর জাতীয় সংসদে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিল-২০২০’ পাস হয়।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০-এর ৯ (১) ধারা অনুযায়ী ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এখন ওই ধারায় ‘যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড’ শব্দগুলোর পরিবর্তে ‘মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড’ শব্দগুলো প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড
এর আগে, দেশে সম্প্রতি ধর্ষণের ক্রমবর্ধমান ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে সংসদের অধিবেশন না থাকায় গত ১৩ অক্টোবর ঘৃণ্য এ অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে এ সংক্রান্ত আইনের (নারী ও শিশু নির্যাতন দমন) একটি সংশোধনী প্রস্তাব অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়েছিল।
বিশেষ করে সিলেট এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির প্রতিবাদে দেশজুড়ে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বিরোধী আন্দোলন এবং ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবির মধ্যেই সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছিল।