নির্যাতনের শিকার এই জেলেদের বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তারা হলেন- রাজশাহীর পবা উপজেলার গহমাবোনা গ্রামের মৃত জকিমুদ্দিনের ছেলে মো. আলম, আলমের ছেলে আনোয়ার, সাইদুর রহমানের ছেলে সিফাত এবং কসবা গ্রামের জুল্লুর ছেলে সোনারুল।
উপজেলার হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বজলে রেজবী আল হাসান মুঞ্জিল জানান, মাছ ধরার সময় বুধবার ভোরে পদ্মা নদী থেকে এই চার জেলেকে তিনটি নৌকাসহ ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। সারা দিন তাদের ব্যাপক নির্যাতন করা হয়।
এই চার জেলের শরীরের বিভিন্ন অংশে লাঠির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নির্যাতনের পর বুধবার সন্ধ্যার পর বিএসএফ তাদের ছেড়ে দেয়। এরপর তারা বাড়ি ফিরে এলে রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিএসএফ এই চার জেলেকে ছেড়ে দিলেও তাদের দুটি নৌকা দেয়নি বলেও জানান চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, মোট তিনটি নৌকাসহ চার জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে একটি নৌকায় করে জেলেদের পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু ভালো দুটি নৌকা বিএসএফ দেয়নি।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) রাজশাহীর ১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদ বলেন, বৃহস্পতিবার সারাদিনের মধ্যে যে কোনো সময় বিএসএফের সঙ্গে তাদের এ বিষয়ে পতাকা বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তারা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাবেন এবং নৌকা ফেরত আনার চেষ্টা করবেন।