সোমবার পর্যন্ত জেলায় ২ হাজার ৯২৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে, লকডাউন তুলে নেয়ায় এরই মধ্যে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে নারায়ণগঞ্জ। আজ (সোমবার) থেকে নারায়ণগঞ্জে গণপরিবহনও চালু হয়েছে এবং গত রবিবার থেকে জেলা থেকে দেশের তিনটি রুটে শুরু হয়েছে লঞ্চ চলাচল।
সমালোচনার মধ্যেও করোনাভাইরাসে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত নারায়ণগঞ্জে ঝুঁকির মধ্যেও গত ১০ মে দোকানপাট ও বিপনীবিতানগুলো খুলে দেয়া হলে বেশীরভাগ মার্কেটেই বেচাকেনা শুরু করে দিয়েছিল ব্যবসায়ীরা। আর ঈদের পর লঞ্চ ও গণপরিবহনও চালু করে দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ৮০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব করলেও তা কমিয়ে ৬০ শতাংশ করে রবিবার প্রজ্ঞাপন জারি করার পরেই নারায়ণগঞ্জের পরিবহন মালিকরা আলোচনায় বসে সোমবার থেকে গণপরিবহন চলাচলের সিদ্ধান্ত নেন।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জে গণপরিবহন চালু হওয়ার পর পুরোপুরি আগের অবস্থায় তৈরি হয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের ঝুঁকি আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গণপরিবহন চালু হওয়ার পর নারায়ণগঞ্জ শহর আগের মতই যানজটের শহরে পরিনত হবে বলে মনে করেন তারা।
লকডাউন থাকলেও ইতোমধ্যেই শিল্প কারখানা, মার্কেট ও বিভিন্ন অফিস খুলে দেয়া রবিবার দুপুরে শহরের ২নং রেল গেইট যানজটের সেই চিরচেনা চিত্র দেখা যায়।
যানজটে আটকে থাকা এক ট্রাক চালক আসলাম জানান, ‘নিতাইগঞ্জ থেকে মালামাল নিয়ে যাচ্ছি। এখানে যানজট পেলাম অনেকদিন পর। মালামাল পরিবহনের জন্য বের হয়েছি।
আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) গত ৮ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জকে লকডাউন ঘোষণা করার পর সোমবার থেকে তা তুলে নেয়া হয়েছে। এদিন দুপুরে শহরের চাষাঢ়া প্রেসক্লাবের সামনে বিভিন্ন মালামাল পরিবহন ও মানুষের যাতায়াতের পরিবহনের কারণে শহরে যানজটের সৃষ্টি হয়। শহরের মার্কেটগুলো এদিন ছিল খোলা। নারী-পুরুষ এমনকি শিশুদের ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মত।