বৃহস্পতিবার সকালে মামলার ধার্য তারিখে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামি রিফাত ফরাজীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়। কিন্তু এ মামলার মূল নথি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে থাকায় স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের শুনানি হয়নি।
এছাড়া এ মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী ৬ নভেম্বর ধার্য করেছেন বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী। একই সাথে শিশু অভিযুক্তদের মামলার পরবর্তী তারিখও নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ নভেম্বর।
এ বিষয়ে শাহনেওয়াজ রিফাত হত্যা মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মজিবুল হক কিসলু বলেন, রিফাত হত্যা মামলার সকল অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা আদালতের হেফাজতে করেছেন। তাই শিশু আসামিদের বিচারের জন্য মামলাটি শিশু আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক প্রধান আসামি রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজীর আদালতে দেয়া ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু মামলার মূল নথি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে থাকায় স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের শুনানি হয়নি।
তিনি আরও বলেন, রিফাত হত্যা মামলার আসামি কামরুল হাসান সাইমুনের আগামী ১১ নভেম্বর একটি পরীক্ষা আছে। এ পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেন সাইমুন। সাইমুনের পরীক্ষার প্রবেশপত্র আদালতে উপস্থাপন করা হলে আদালত সাইমুনকে পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ দেবেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন প্রকাশ্য দিবালোকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বহুল আলোচিত এ মামলার তদন্ত শেষে গত ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক, দুই ভাগে বিভক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। অভিযোগপত্রভুক্ত ২৪ আসামির মধ্যে ৮ জন বরগুনা জেলা কারাগারে এবং ১৩ জন যশোর শিশু ও কিশোর সংশোধনাগারে রয়েছে। এছাড়া দুজন আসামি জামিনে রয়েছেন। আর এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনও পলাতক রয়েছেন।