উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য ১ হাজার আশ্রয়ণ নির্মাণ করছে রেড ক্রিসেন্ট।
বর্তমানে প্রায় ৯ হাজার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য আশ্রয়ণ নির্মাণের কাজ চলছে, এর মধ্যে ১ হাজার আশ্রয়ণ নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।
প্রাথমিক পর্যায়ে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের অফিস (আরআরআরসি) ও রেড ক্রিসেন্ট যৌথভাবে ৮০০ পরিবারের জন্য তাবু স্থাপনসহ ৭০০টি অস্থায়ী আশ্রয় নির্মান করে। বর্তমানে রেড ক্রিসেন্টের পপুলেশন মুভমেন্ট অপারেশনের আওতায়, কাতার রেড ক্রিসেন্টের অর্থায়নে ৭৫টি ও ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিসের অর্থায়নে ৯২৫টি, মোট ১ হাজার পরিবারের জন্য অপেক্ষাকৃত অধিক শক্তিশালী আশ্রয়ণ নির্মাণ করা হচ্ছে।
বাঁশ, লোহা, কাঠ ও অন্যান্য সামগ্রীর সমন্বয়ে, শেল্টার সেক্টর, সাইট ডেভেলপমেন্ট ও আরআরআরসি’র অনুমোদিত নকশায় নির্মিত এই আশ্রয়ণগুলো পূর্বের আশ্রয়ণ অপেক্ষা অধিক টেকসই ও দুর্যোগ সহনশীল এবং প্রশস্ত।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, কক্সবাজার, হেড অব অপারেশন এম এ হালিম বলেন, ‘কক্সবাজারে নিয়োজিত মানবিক সংস্থাসমূহের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা খুব অল্প সময়েই প্রয়োজনীয় সেবাসমুহ প্রদানে সক্ষম হয়েছি। বর্তমানে ১ হাজার আশ্রয়ণ নির্মাণের কাজ চলছে, সামনের দুর্যোগ ও বর্ষার মৌসুম মাথায় রেখে এই সব আশ্রয়ণ পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দুর্যোগ পরিস্থিতিতেও ক্যাম্প জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা কিছুটা হলেও নিশ্চিত হবে বলে আশা করা যায়। আমরা আশা করছি আগামী ৩০ জুন নাগাদ এই প্রকল্প সম্পূর্ণ বাস্তবে রূপ নেবে।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকাণ্ড: আইওএমকে ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিচ্ছে কোরিয়া
তিনি বলেন, ‘আরআরআরসি ও সাইট ম্যানেজমেন্ট আমাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। অধিকতর দুর্যোগপ্রবণ এলাকা হিসাবে কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বর্ষণ ও ভুমিধ্বসের প্রবণতা রয়েছে। এর ফলে প্রতিবছরই এই মৌসুমে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়। আশা করছি এই দুর্যোগ -সহনশীল আশ্রয়ণ এবছর এই ক্ষতির পরিমান ও দুর্ভোগ হ্রাস করতে সহায়তা করবে।’
২০১৭ সালে শুরু হওয়া চলমান পপুলেশন মুভমেন্ট অপারেশনের অংশ হিসেবে, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, আইএফআরসি এবং অন্যান্য দেশের রেড ক্রস রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহায়তায় ক্যাম্পে বসবাসকারী এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর উভয়কেই স্বাস্থ্যসেবা, পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি; আশ্রয়ন, জীবিকা ও মৌলিক চাহিদা এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কার্যক্রমের পাশাপাশি নারী ও সর্বাধিক ঝুঁকিগ্রস্থ সম্প্রদায়ের সুরক্ষা সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
২০১৭ সালে অপারেশন শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বিডিআরসিএস প্রায় ১০ লাখ মানুষকে মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে।