রেড ক্রিসেন্ট
কেমন কাটছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাবাসীর জীবন?
রাতের ঘুটঘুটে কালো অন্ধকার কেমন যেন একটা ভুতুড়ে পরিবেশ তৈরি করে, যা কোমলমতি শিশুদের মনে ভয়ের সৃষ্টি করে। যুদ্ধ-বিদ্ধস্ত গাজার রাতগুলো যেন অন্য যেকোনো জায়গার চেয়ে আরও বেশি ভয়ানক!
গাজা উপত্যকায় যখন রাত নামে ভাঙা ঘরবাড়ির বিভিন্ন অংশ অন্ধকারে ঢেকে গিয়ে ভয়ার্ত দৃশ্য তৈরি করে। এতে আতঙ্কিত হয় শিশুরা।
ইসরায়েলের তান্ডবে নিজের বাড়ি বিধ্বস্ত হলেও ধংসস্তূপের মধ্যেই বাস করছেন ফিলিস্তিনি নারী রাওয়া তাম্বুরা ও তার বাচ্চারা। তবে রাত হলেই অন্ধকারে নিজেদের বাড়ির ভগ্নদশায় ভয় পায় তার ছেলেরা।
ভয় তাড়াতে বাধ্য হয়ে মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে রাখেন তাম্বুরা। অবশ্য যতক্ষণ চার্জ থাকে মোবাইলে। পনেরো মাসের হামলায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে গাজায়। তার কর্মস্থলে থাকা একটি জেনারেটরে রোজ চার্জ করে আনেন মোবাইল।
আরও পড়ুন: এবার অধিকৃত পশ্চিমতীরে ট্যাংক পাঠাল ইসরায়েল
দীর্ঘ ১৬ মাস পর বাড়ি ফিরেছেন তাম্বুরা। যদিও বাড়ি বলতে সেই অর্থে কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। প্রচণ্ড হতাশা নিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে পানি, বিদ্যুৎ, তীব্র শীতে উষ্ণতা পাওয়ার কোনো ব্যবস্থা, এমনকি ময়লা আবর্জনা দূর করার উপায়ও তাদের নেই।’
জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গাজায় যুদ্ধ-বিরতি কার্যকর হওয়ার পর প্রায় ৬ লাখ বাস্তুচ্যুত গাজাবাসী প্রবল আগ্রহ উদ্দিপনা নিয়ে নিজেদের বাসস্থানে ফিরেছিলেন।
তবে ঘরে ফেরার আনন্দে বিভোর গাজাবাসী ধীরে ধীরে অনুভব করতে শুরু করেছেন তাদের কঠোর বাস্তবতা। ঠিক কতদিন তাদের এই মানবেতর জীবনযাপন করতে হবে তার কোনো ইয়ত্তা নেই।
কয়েক কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে খাবার পানি আনেন তারা। নেই খাবারেরও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। খাবার রান্না করতে হলে মাইলের পর মাইল খুঁজতে হয় জ্বালানি। ভাঙা বাড়িঘর গুলো থেকে ইট-পাথর সরানোর মতো কোনো সরঞ্জামও নেই গাজাবাসীর কাছে।
তাম্বুরা বলেন, ‘গাজাবাসী এতটা কষ্টে রয়েছেন, তাদের মধ্যে কেউ কেউ মনে করেন এরকম যুদ্ধবিরতির চেয়ে তারা যুদ্ধে শহীদ হলেই ভালো হতো।’ তিনি বলেন, ‘আমি জানি না, ভবিষ্যতে আমরা কি করবো, আমি আর কিছু চিন্তা করতে পারছি না।’
এদিকে, আগামী শনিবার (১ মার্চ) শেষ হতে চলেছে যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপ। দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। পুনরায় চুক্তি হবে কিনা তা অনিশ্চিত। যদি চুক্তি না করে ইসরায়েল পুনরায় হামলা করে অসহায় গাজাবাসীর ভাগ্যে কি রয়েছে, তারা নিজেরাও তা জানেন না। আশ্রয়ের সন্ধানে কোথায় যাবেন জানেন না দুর্ভাগা মানুষগুলো।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি স্থগিত করল ইসরায়েল: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
অন্যদিকে ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকেই গাজার পুনর্গঠন নিয়ে নানা পরিকল্পনার কথা শোনা গেলেও দৃশ্যত কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। বিশ্বব্যাংকের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের হিসাব মতে গাজাকে ফের বসবাসযোগ্য করে তুলতে প্রায় ৫৩০ কোটি টাকা (৫৩ বিলিয়ন ডলার) প্রয়োজন। তবে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ কিভাবে আর কোন উৎস থেকে আসবে তা নিয়ে কোনো বক্তব্য নেই।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো প্রাথমিকভাবে মানুষগুলো যেন কোনোভাবে বাস করতে পারে উপত্যকাটিতে সেটি বিবেচনায় রাখা হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, আশ্রয়ের জন্য তাঁবু, খাবার পানি ও রান্না করার ব্যবস্থা করতে শুরু করেছে তারা।
তবে একদিকে ইসরায়েলের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত ঘরবাড়িতেই কোনোভাবে টিকে থাকার চেষ্টার মাঝেই আরেক শঙ্কা তৈরি করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে গাজাবাসীদের অন্যত্র সরিয়ে তিনি গাজা দখল করার ঘোষণা দেন। এর আগে তিনি গাজাকে পুর্নগঠনের নামে তার ‘ক্লিন গাজা’ মিশনের কথা বলেন। তিনি মিসর ও জর্ডানে গাজাবাসীদের আশ্রয় দেওয়ার কথা বলেন।
তবে ট্রাম্পের বক্তব্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছেন গাজার বাসিন্দারা। কোনো মূল্যেই তারা জন্মভূমি ত্যাগ করবেন না বলে জানান।
এই বিধ্বস্ত নগরীতেই নিজেদের অদৃষ্ট মেনে নিয়েই বাঁচতে শুরু করেছে গাজাবাসী। বৈইত লাহিয়ার তাম্বুরা রোজ ঘণ্টাখানেক হেঁটে গিয়ে একটি হাসপাতালে নার্সের চাকরি করেন। তার মাত্র ১২ বছর বয়সী ছেলে কয়েক কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে খাবার পানি সংগ্রহ করেন। তারা বাস করেন তাদের বাড়ির অর্ধেক ভাঙা একমাত্র রক্ষা পাওয়া রুমটিতে।
তাদের মতোই তেল আল হায়ার আসমা দাওইমাও ফিরেছেন নিজ বাসভূমে। কিন্তু তার বাড়িটির কিছুই অবশিষ্ট না থাকায় থাকছেন ভাড়া বাড়িতে। আসমা বলেন, ‘আমি এখানে ফেরার সাহস পাচ্ছিলাম না। সত্যটা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছিল যে আমাদের বাড়িটা আর নেই।’
তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলিরা শুধু বাড়িই নয়, আমাদের স্বপও ভেঙে দিয়েছে।’ গাজার শহরে ফিরে ভাঙা বাড়ির ছোট একটি রুমে পুরো পরিবার নিয়ে বাস করছেন ২০ বছর বয়সী যুবক হুডা শায়েক। তার ভাষ্যে, অন্তত নিজের জন্মস্থানে তো রয়েছেন তারা।
এমনই মানসিক শক্তিতে বলীয়ান গাজাবাসী। অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ জেনেও জন্মভূমির মাটি আটকে পড়ে রয়েছেন গাজার মানুষ। বিশেষজ্ঞরা বলছে, গাজার পুর্নগঠনে লাগতে পারে কয়েক দশক।
জাতিসংঘ, রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা অঞ্চলটিতে আরও বেশি পরিমানে ত্রান পাঠানোর চেষ্টা করছে।
২১ দিন আগে
সিলেটে বন্যাদুর্গত ৫০০ পরিবারকে রেড ক্রিসেন্টের ত্রাণ সহায়তা
সিলেটে বন্যাকবলিত এলাকায় ৫০০ পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।
শুক্রবার (২১ জুন) সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম. ইউ. কবীর চৌধুরী।
এদিন সকালে নয়া ঠাকুরের মাটি গ্রামে আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেন তিনি।
এরপর কানাইঘাট খেয়াঘাটে বন্যাদুর্গত মানুষের মাঝে ১৩৫ জেরিকেন বিশুদ্ধ খাবার পানি এবং মেছা গ্রামে ২৫০ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার, মোমবাতি ও দেশলাই বিতরণ করেন রেড ক্রিসেন্টের চেয়ারম্যান।
বিকালে কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন ডা. কবীর চৌধুরী। সেখানেও ২৫০ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার, মোমবাতি ও দেশলাই বিতরণ করা হয়।
দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের সহায়তায় রেড ক্রিসেন্ট সবসময় নিবেদিত মন্তব্য করে অধ্যাপক ডা. কবীর চৌধুরী বলেন, ‘বন্যাকবলিত দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে রেড ক্রিসেন্ট সরকারের সঙ্গে একাত্ম হয়ে কাজ করছে। সরকারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভয়াবহ এ বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করে তা কাটিয়ে উঠতে আমাদের যুব স্বেচ্ছাসেবকরা সার্বক্ষণিক মাঠে থেকে নিরাপদ খাবার পানি বিতরণসহ সব ধরনের সহায়তামূলক কাজে নিয়োজিত আছে।’
এদিকে বন্যায় খাবার পানির সংকট দেখা দেওয়ায় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পক্ষ থেকে সিলেট ও সুনামগঞ্জে ৩টি মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বসানো হয়েছে। এই প্ল্যান্টের মাধ্যমে প্রতি ঘণ্টায় ১৫০০ লিটার পানি বিশুদ্ধ করা যায়। প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা এই প্ল্যান্টে পানি বিশুদ্ধ করে বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে পানি বিতরণ করছে সিলেট ও সুনামগঞ্জ রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের স্বেচ্ছাসেবকরা।
এছাড়াও, সিলেট ও মৌলভীবাজারে বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট।
সফরকালে বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে রেড ক্রিসেন্টের বিশুদ্ধ পানি ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন অধ্যাপক ডা. কবীর চৌধুরী।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সদস্য মস্তাক আহমদ পলাশ, আইএফআরসির হেড অব ডেলিগেশন আলবার্তো বোকানেগ্রা, সোসাইটির ডিজাস্টার রেসপন্স বিভাগের পরিচালক মো. মিজানুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিটের কর্মকর্তা ও যুব স্বেচ্ছাসেবকরা।
২৬৯ দিন আগে
লিবিয়ার উপকূলীয় শহর দেরনায় বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১,৩০০: রেড ক্রিসেন্ট
লিবিয়ার উপকূলীয় শহর দেরনায় ভারী বর্ষণে দুটি বাঁধ ভেঙে ব্যাপক বন্যার পর অনুসন্ধান অভিযান অব্যাহত থাকায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১ হাজাত ৩০০ জনে দাঁড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার লিবিয়ার রেড ক্রিসেন্ট বিষয়টি জানিয়েছে।
সহায়তা গ্রুপটির সেক্রেটারি জেনারেল মারি এল-ড্রেস ফোনে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেন, ভূমধ্যসাগরীয় শহরটিতে আরও ১০ হাজার ১০০ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ দেরনায় মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ৫০০ বলে জানিয়েছিল।
ঝড়ে দেশের অন্যান্য স্থানেও প্রায় ১৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২০১১ সালের গণঅভ্যুত্থানে মুয়াম্মার গাদ্দাফির দীর্ঘদিনের শাসনামলের পতন হওয়ার পর থেকে সংঘাতে জর্জরিত তেল সমৃদ্ধ দেশটিতে রবিবার রাতে বন্যায় দেরনা ভেসে গেছে এবং দেশটির ঝুঁকিপূর্ণ দিকগুলো প্রকাশ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: লিবিয়ার বন্যার্তদের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে আজ
লিবিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
৫৫০ দিন আগে
আফগানিস্তানে ভূমিকম্প: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১৫০
আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে এক হাজার ১৫০ জনে পৌঁছেছে এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।
শুক্রবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে মৃতের সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
রাষ্ট্রায়ত্ত্ বাখতার নিউজ এজেন্সির তালেবান পরিচালক আব্দুল ওয়াহিদ রায়ান জানান, নিহতের সংখ্যা ১০০০ থেকে বেড়ে ১১৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া অন্তত ১৬০০ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে অন্তত ৯২০ জন নিহত
৬ মাত্রার ভূমিকম্পে হাজার হাজার মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বুধবারের ভূমিকম্পে প্রায় তিন হাজার বাড়িঘর ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল পাকতিকা প্রদেশ ও প্রতিবেশী খোস্ত প্রদেশে।
এ ঘটনায় খাদ্য ও অন্যান্য জরুরি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় রেড ক্রিসেন্ট ও ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের মতো সংস্থাগুলো।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত ৭, আহত ৮৫
৯৯৮ দিন আগে
জরুরি পরিস্থিতিতে লাশ ব্যবস্থার প্রশিক্ষণ দিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (বিডিআরসিএস) সহযোগিতায় বান্দরবান, পার্বত্য চট্টগ্রামে (সিএইচটি) তিনটি ধর্ম ভিত্তিক সংস্থাকে জরুরি পরিস্থিতিতে লাশ ব্যবস্থার প্রশিক্ষণ দিয়েছে আর্ন্তজাতিক রেড ক্রস কমিটি (আইসিআরসি)।
রেড ক্রিসেন্টের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: টিকাদান কর্মসূচি সফল করতে কাজ করছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি
তথ্য অনুযায়ী, পার্বত্য চট্টগ্রামে (সিএইচটি) তিনটি ধর্ম ভিত্তিক সংস্থাকে জরুরি পরিস্থিতিতে কিভাবে নিরাপদে মৃতদেহ ব্যবস্থাপনা করবেন সে বিষয়ে একদিনের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ও বান্দরবান খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন। প্রতিটি সংস্থা লাশ নিরাপদে পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ধারণকারী জরুরি প্রস্তুতি কিট পেয়েছে।
জরুরি অবস্থার সময়, মৃতদের পরিচালনার দায়িত্ব প্রায়ই স্থানীয় সংস্থা, সম্প্রদায়ের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ও ধর্ম-ভিত্তিক দাতব্য গোষ্ঠীকে দেয়া হয়। মৃত ব্যক্তির মর্যাদা সংরক্ষণ তার পরিবারের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে, পাশাপাশি ব্যবস্থাপনাজনিত কোন ভুলের কারণে মানুষ যেন নিখোঁজ না হয়ে যায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতেও সহায়তা করে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ড: রেড ক্রিসেন্টের ১০০০ আশ্রয়ণ নির্মাণ
এই প্রশিক্ষণে গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে আইসিআরসি ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ জেনি হিউজ বলেন, ‘এই প্রশিক্ষণগুলির উদ্দেশ্য হল স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের যথাযথ পরীক্ষা, শনাক্তকরণ, শনাক্তকরণের জন্য মৃতদেহগুলোকে যথাযথভাবে এবং সম্মানজনকভাবে পুনরুদ্ধার এবং স্থানান্তর করার জন্য সর্বোত্তম অনুশীলনগুলো প্রয়োগ করে প্রাথমিক এবং বাস্তব নির্দেশনা দেয়া। আমরা মৃতদের সাথে পৌরাণিক কাহিনী সম্পর্কিত ভয় এবং মিথ্যা রচনা দূর করতে, ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম (পিপিই), বডি ব্যাগ এবং জরুরি প্রস্তুতির কিটগুলোর সঠিক ব্যবহার দেখাতে চাই।’
১২২৮ দিন আগে
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ড: রেড ক্রিসেন্টের ১০০০ আশ্রয়ণ নির্মাণ
উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য ১ হাজার আশ্রয়ণ নির্মাণ করছে রেড ক্রিসেন্ট।
বর্তমানে প্রায় ৯ হাজার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য আশ্রয়ণ নির্মাণের কাজ চলছে, এর মধ্যে ১ হাজার আশ্রয়ণ নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।
প্রাথমিক পর্যায়ে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের অফিস (আরআরআরসি) ও রেড ক্রিসেন্ট যৌথভাবে ৮০০ পরিবারের জন্য তাবু স্থাপনসহ ৭০০টি অস্থায়ী আশ্রয় নির্মান করে। বর্তমানে রেড ক্রিসেন্টের পপুলেশন মুভমেন্ট অপারেশনের আওতায়, কাতার রেড ক্রিসেন্টের অর্থায়নে ৭৫টি ও ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিসের অর্থায়নে ৯২৫টি, মোট ১ হাজার পরিবারের জন্য অপেক্ষাকৃত অধিক শক্তিশালী আশ্রয়ণ নির্মাণ করা হচ্ছে।
বাঁশ, লোহা, কাঠ ও অন্যান্য সামগ্রীর সমন্বয়ে, শেল্টার সেক্টর, সাইট ডেভেলপমেন্ট ও আরআরআরসি’র অনুমোদিত নকশায় নির্মিত এই আশ্রয়ণগুলো পূর্বের আশ্রয়ণ অপেক্ষা অধিক টেকসই ও দুর্যোগ সহনশীল এবং প্রশস্ত।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, কক্সবাজার, হেড অব অপারেশন এম এ হালিম বলেন, ‘কক্সবাজারে নিয়োজিত মানবিক সংস্থাসমূহের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা খুব অল্প সময়েই প্রয়োজনীয় সেবাসমুহ প্রদানে সক্ষম হয়েছি। বর্তমানে ১ হাজার আশ্রয়ণ নির্মাণের কাজ চলছে, সামনের দুর্যোগ ও বর্ষার মৌসুম মাথায় রেখে এই সব আশ্রয়ণ পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দুর্যোগ পরিস্থিতিতেও ক্যাম্প জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা কিছুটা হলেও নিশ্চিত হবে বলে আশা করা যায়। আমরা আশা করছি আগামী ৩০ জুন নাগাদ এই প্রকল্প সম্পূর্ণ বাস্তবে রূপ নেবে।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকাণ্ড: আইওএমকে ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিচ্ছে কোরিয়া
তিনি বলেন, ‘আরআরআরসি ও সাইট ম্যানেজমেন্ট আমাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। অধিকতর দুর্যোগপ্রবণ এলাকা হিসাবে কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বর্ষণ ও ভুমিধ্বসের প্রবণতা রয়েছে। এর ফলে প্রতিবছরই এই মৌসুমে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়। আশা করছি এই দুর্যোগ -সহনশীল আশ্রয়ণ এবছর এই ক্ষতির পরিমান ও দুর্ভোগ হ্রাস করতে সহায়তা করবে।’
২০১৭ সালে শুরু হওয়া চলমান পপুলেশন মুভমেন্ট অপারেশনের অংশ হিসেবে, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, আইএফআরসি এবং অন্যান্য দেশের রেড ক্রস রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহায়তায় ক্যাম্পে বসবাসকারী এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর উভয়কেই স্বাস্থ্যসেবা, পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি; আশ্রয়ন, জীবিকা ও মৌলিক চাহিদা এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কার্যক্রমের পাশাপাশি নারী ও সর্বাধিক ঝুঁকিগ্রস্থ সম্প্রদায়ের সুরক্ষা সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
২০১৭ সালে অপারেশন শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বিডিআরসিএস প্রায় ১০ লাখ মানুষকে মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে।
১৩৮৬ দিন আগে
করোনা প্রতিরোধে রেড ক্রিসেন্টের হাত ধোয়ার ১০ হাজার বেসিন
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মানুষকে হাত ধুতে উৎসাহিত করতে সারা দেশে মোট ১০ হাজার ১৭৯টি বেসিন স্থাপন করেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।
১৭৯১ দিন আগে