লক্ষ্মীপুরের গ্রিন লিফ সিএনজি ফিলিং স্টেশনে দুই মাসের মাথায় ফের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। দ্বিতীয়বার ঘটা এই দুর্ঘটনার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৪টার দিকে বাসের সিলিন্ডারে গ্যাস রিফিলের সময় তা বিস্ফোররিত হয়। এ সময় ঘটনাস্থালেই চালক মো. রুবেল ও গ্যারেজ মেকানিক আবুল কালাম নিহত হন।
ফিলিং স্টেশনটি লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের মুক্তিগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত।
এর আগে, গত ১৪ অক্টোবর একই ফিলিং স্টেশনে গ্যাস রিফিলের সময় বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হন। সেদিনের ঘটনায় আহত হন আরও ৯ জন।
মঙ্গলবার রাতের দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- রামগতির চরবাদাম ইউনিয়নের বাসিন্দা বাসচালক রুবেল এবং সাহাপুরের বাসিন্দা ও গ্যারেজ মেকানিক কালাম।
এছাড়া আহত হয়েছেন নোয়াখালীর কবিরহাট এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন ও লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের সাহাপুর এলাকার নাঈম।
আরও পড়ুন: ভিক্টোরিয়া কলেজ ক্যাম্পাসে ‘ককটেল বিস্ফোরণ’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গ্রিন লিফ ফিলিং স্টেশনে আল মদিনা নামের একটি বাস গ্যাস রিফিল করার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই কালাম নিহত হন। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতাল ভর্তি করেন। এ সময় রুবেল অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়; তার লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। আহতদের শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম রয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে ঢাকায় ও অন্য দুইজনকে নোয়াখালী হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢাকায় নেওয়ার পথে আরও একজন মারা যায়।’
এদিকে, সকাল দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) রাজীব কুমার সরকার ও জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আকতার হোসেন।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘একই ফিলিং স্টেশনে এর আগেও গ্যাস রিফিলের সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ওই মামলা এখনও চলমান। এখন আবার বিস্ফোরণের ঘটনায় দুইজন মারা গেছে ও দুইজন আহত হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার বলেন, ‘দুই মাসের ব্যবধানে দুটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা এ ব্যাপারে এর আগে বৈঠক করেছি। এ ঘটনায় ৫ সদস্য তদন্ত কমিটি গঠন ও ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার।’