শরীয়তপুর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের একজন স্থানীয় সাংবাদিক ও ফ্রিল্যান্সার মাসুদ রানার স্ত্রী মালা রাখাইন জাজিরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে স্বামীর মৃতদেহ নিতে গিয়ে মঙ্গলবার তার দিন শুরু করেন ভিন্নভাবে।
মালা প্রতিদিন খুব ভোরে তার রেস্তোরাঁয় যেতেন। স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য তিনি ও মাসুদ রানা বরিশাল শহরে একটি রেস্তোরাঁ খুলেছিলেন।
দৈনিক নবচেতনা পত্রিকার ব্যুরো চিফ এবং সোবহান মৃধা ও কহিনুর বেগম দম্পতির ছোট ছেলে মাসুদ রানা বরিশাল নগরীর গোরাচাঁদ দাস রোডে থাকতেন।
বিকাল সোয়া ৩টার দিকে মাসুদের মরদেহ আগৈলঝাড়ার বাশাইলের নিজ বাড়িতে আনা হয়।
মাসুদের পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও পরিচিতজনরা তাকে বিদায় জানাতে সেখানে ভিড় করেন।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরের জাজিরায় ট্রাক-অ্যাম্বুলেন্স সংঘর্ষে রোগীসহ নিহত ৬
মাসুদের আত্মীয় বাপ্পী বলেন, ‘মাসুদ খুবই পরোপকারী ছিলেন এবং তিনি কিছু না ভেবেই অন্যকে সাহায্য করতেন।’
এর আগে, মঙ্গলবার ভোরে শরীয়তপুর জাজিরা উপজেলার পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার কাছে দ্রুতগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় ছয়জন নিহত হন।
নিহতরা হলেন- রোগী জাহানারা বেগম (৫৫); তার মেয়ে লুৎফুন নাহার লিমা (৩০); স্বাস্থ্যকর্মী ফজলে রাব্বি (২৮); অ্যাম্বুলেন্স চালক জিলানী (২৮); সহকারী রবিউল ইসলাম (২৬) এবং স্থানীয় সাংবাদিক দৈনিক নবচেতনা পত্রিকার বরিশাল ব্যুরো প্রধান মাসুদ রানা (৩০)।
লুৎফুন নাহার লিমার বন্ধু হিসেবে মাসুদ অ্যাম্বুলেন্সে ওঠেন।
স্থানীয় আরেক সাংবাদিক মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘মাসুদ কোভিড মহামারি চলাকালীন অসহায় মানুষের জন্য কাজ করেছেন এবং সর্বদা দরিদ্রদের সাহায্য করেছেন। তার এভাবে চলে যাওয়াটা মেনে নেয়া কঠিন।’
আরও পড়ুন: সাংবাদিক আবদুর রহমান খান আর নেই