বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬০তম একাডেমিক কাউন্সিলের অনলাইন সভায় রবিবার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ৭ মার্চের ভাষণকে প্রত্যক স্তরের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে হাইকোর্টের নির্দেশনা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পত্রের বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভায় উপস্থিত সদস্যদের মতামত ও আলাচনার পরিপ্রেক্ষিত ৭ মার্চের ভাষণকে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
‘স্বাধীন বাংলাদেশ অভ্যুদয়ের ইতিহাস’ শীর্ষক কোর্সের অংশ হিসেবে এ ভাষণ পড়ানো হবে।
কোর্সের কাঠামো ও ক্রেডিটসহ আনুষঙ্গিক বিষয় নির্ধারণ করে সুপারিশ দেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফয়সল আহম্মেদকে আহ্বায়ক করে তিনজন বিভাগীয় প্রধান ও বাইরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুজন অধ্যাপকসহ ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির সদস্যরা হলেন বাংলাদশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আশফাক হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, শাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগর প্রধান অধ্যাপক ড. লায়লা আশরাফুন, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. জায়েদা শারমিন ও বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আশ্রাফুল করিম।
শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত এবং হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ এ ভাষণকে প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়েছে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে আমাদের শাবিতেই প্রথম এ ভাষণ পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্তের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছি। কমিটির কাজ শেষ হলে আশা রাখছি পরবর্তী একাডেমিক কাউন্সিলে বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।’