যাত্রীদের অনেকে ঘাটে এসে পড়েছেন বিড়ম্বনায়। তাদের মধ্যে অনেকে গাড়ি রেখে ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চ-স্পিড বোটে করে ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা পার হচ্ছেন। যাত্রীদের অনেকে ফিরে গেলেও পণ্যবাহী ট্রাক চালকরা ঘাটেই অপেক্ষা করছেন।
এদিকে, নাব্যতা ফেরাতে লৌহজং টার্নিং চ্যানেলে ড্রেজিং করা হচ্ছে। তবে কবে নাগাদ ফেরি সচল শুরু হবে তা নিশ্চিত করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ৯ দিন বন্ধ থাকার পর সীমিত আকারে চালুর দুদিনের মাথায় ফের ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ ঘাট ব্যবহারকারীরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইদুল রহমান জানান, চ্যানেল সচলে চেষ্টা চলছে। এ রুটের ১৭ ফেরির চারটি অন্যত্র পাঠানো হয়েছে। বাকি ১৩টি অলস পড়ে আছে।
রবিবার রাতে নাব্যতার কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি চলাচল। গুরুত্বপূর্ণ এ নৌরুট বন্ধ ঘোষণা করে ঘাট এলাকায় মাইকিং করে বিআইডব্লিউটিসি। এতে দুর্ভোগে পড়েছে এ ঘাট ব্যবহারকারী দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ।
বিআইডব্লিউটিসির এজিএম মো. শফিকুল ইসলাম জানান, চ্যানেলে নাব্যতার অভাবে ফেরি চালানো যাচ্ছে না। এর মধ্যে লৌহজং টার্নিংয়ের কাছের লৌহজং চর ভেঙে চ্যানেলে পলি জমে যাচ্ছে। এর ফলে চ্যানেলে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে এসেছে। চ্যানেলের পলি অপসারণ করা না হলে ফেরি চালানো সম্ভব হবে না। বিআইডব্লিউটিএর পরামর্শেই ফেরি বন্ধ রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে, তিন নম্বর ঘাটে বালুর বস্তা ফেলেও পদ্মার ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে না। ক্রমেই ঘাট ও আশপাশের জনপদ পদ্মায় বিলীন হয়ে যাচ্ছে দেখে আতঙ্কের মধ্যে আছেন ঘাটে ব্যবসায়ী ও আশপাশের বাসিন্দারা।
বিআইডব্লিউটিসির এজিএম আরও জানান, নাব্যতা সঙ্কটে এখন এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে এ রুটে ছোট ফেরিও চলতে পারছে না। পদ্মার ভাঙন তাণ্ডবে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে শিমুলিয়ার নতুন তিন নম্বর ঘাট। সরিয়ে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। পদ্মার প্রবল স্রোত এবং ভাঙন থেকে ঘাট রক্ষায় বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে।
নতুনভাবে চালুর একমাসের মাথায় পদ্মায় বিলীন হওয়া ৩ নম্বর ঘাট আবার ভাঙনের মুখে পড়েছে। তবে, বিলীন হয়ে যাওয়া ৪ নম্বর ঘাট এখনো চালু করা যায়নি। ১ ও ২ নম্বর ঘাট দিয়ে ফেরি চলাচল করলেও সেটিও এখন বন্ধ।