বুধবার জেলা সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা বলেন, চারজনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে বলে আজ দুপুরে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ (বিআইটিআইডি) থেকে জানানো হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে ৯ মাসের একটি শিশু, ৩৮ বছরের এক নারী এবং ১৯ ও ৫০ বছরের দুই পুরুষ রয়েছেন। চারজনই রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তারা শহরের মোল্লা পাড়া, দেবাশীষ নগর ও রিজার্ভ বাজার এলাকা বাসিন্দা বলে জানান সিভিল সার্জন।
ডা. বিপাশ আরও জানান, জেলায় যাতে করোনার সংক্রমণ বাড়তে না পারে সে জন্য আক্রান্তদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
‘বিআইটিআইডিতে রাঙামাটি থেকে ২৭০ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। তার মধ্যে ১৯৮ জনের নমুনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ পাওয়া গেছে। বাকি ৭২ জনের প্রতিবেদন এখনও আসেনি,’ যোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ বলেন, ‘আক্রান্ত ব্যক্তিদের এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়া তাদের নমুনা আবার চট্টগ্রামে পাঠানো হবে। গত ২৯ এপ্রিল তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল আর রিপোর্ট পাওয়া গেছে এক সপ্তাহ পর।’
এদিকে, রাঙামাটির করোনা সংক্রান্ত কমিটির ফোকাল পার্সন ডা. মো. মোস্তফা কামাল জানান, বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন জায়গায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৩৭৬ জন। আর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টইনে আছেন ৬২৯ জন। এছাড়া ১ হাজার ৫৩৮ জন ছাড়পত্র পেয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, দেশে করোনাভাইরাসের শিকার জেলার মধ্যে খাগড়াছড়ির পর সর্বশেষ আক্রান্ত হলো রাঙামাটি। এ নিয়ে দেশের ৬৪টি জেলার সবগুলোতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ল।