তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের সকল আশা, আকাঙ্ক্ষা ও আস্থা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঘিরে। এ সরকারের মেয়াদেই বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করেই ভারতের সাথে তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন করা হবে,’
বেলা ১১টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
উপমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে গঙ্গাচুক্তি করতে পারেনি। খালেদা জিয়া গঙ্গাচুক্তির বিষয়টি ভুলেই গিয়েছিলেন। কিন্তু শেখ হাসিনা ভুলেননি, চুক্তি করে ৩৫ হাজার কিউসেক পানি বাংলাদেশে নিয়ে এসেছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল আন্তর্জাতিক সমস্যার সমাধান হয়েছে।’
উপমন্ত্রী আরও বলেন, পশ্চিম গোপালগঞ্জে সমন্বিত পানি উন্নয়ন প্রকল্প ও গোপালগঞ্জের নদী-খাল পুনঃখননসহ ১৩টি প্রকল্পে প্রায় সাড়ে ১১’শ কোটি টাকার ডিপিপি অনুমোদনের কাজ চলছে।এই ডিপিপি একনেকে অনুমোদন হলে আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই গোপালগঞ্জের এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধের বেদীতে পুস্পমাল্য অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা জানান পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম এমপি। পরে তিনি বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের নিহত সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
এরপর তিনি মুজির বর্ষ উপলক্ষে দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসাবে সমাধি সৌধের পাশ দিয়ে প্রবাহিত টুঙ্গিপাড়া খাল পাড়ে গাছের চারা রোপন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা ইউনিয়নে মধুমতি নদীর ভাঙ্গন প্রতিরক্ষা কাজ পরিদর্শন করেন।
এ সময় মন্ত্রী পত্নী তাহমিনা শিলু, প্রধান প্রকৌশলী ওয়াহেদ উদ্দিন চৌধুরী, মন্ত্রীর একান্ত সচিব কামরুল ইসলাম, গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হালিম সালেহী, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মীর শাহীনুর রহমান, প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।