সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ‘কোন অভিপ্রায় নেই’। তবে সম্পত্তি ও জীবন রক্ষার অধিকার রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেছেন, ‘মানবাধিকারের নামে কেউ যদি সম্পত্তি ধ্বংস করে, অগ্নিসংযোগ করে এবং মানুষ হত্যা করে, তাহলে তাদের সম্পত্তি ও মানুষের জীবন রক্ষা এবং তাদের চলাফেরা নিশ্চিতের অধিকার সরকারের রয়েছে।’
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থের তুলনায় কাজ উন্নত হয় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) ‘বাংলাদেশ: রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর ক্র্যাকডাউন’ শিরোনামের একটি প্রতিবেদনের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মোমেন জানান, এইচআরডব্লিউর প্রতিবেদনে কী আছে সে বিষয়ে তিনি অবগত নন।
তবে তিনি বলেন, তারা কারো মানবাধিকার লঙ্ঘন দেখতে চান না। ‘আমরা খুব সংবেদনশীল। সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘন দেখতে চায় না।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা এইচআরডব্লিউ সোমবার বলেছে, বাংলাদেশ পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করছে। তাই দেশটির কর্তৃপক্ষ বিরোধী দলগুলির ওপর দমন-পীড়ন এবং ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকরা হামলা বাড়িয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার বলেছেন, বাংলাদেশ একটি পরিপক্ক গণতন্ত্র যা নির্বাচন পরিচালনা করতে এবং ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর করতে সক্ষম। কিন্তু এর আগের নির্বাচনগুলিতে সহিংসতা, বিরোধীদের ওপর আক্রমণ এবং ভোটারদের ভয় দেখানোর ঘটনা দেখা গেছে।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক হামলা ও গ্রেপ্তারের সাম্প্রতিক ঘটনা আসন্ন সংসদ নির্বাচনের জন্য একটি অশুভ সুর তৈরি করেছে।’
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক খাদ্য সংকটে বাংলাদেশের ক্ষতি হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভার্জিনিয়ায় বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী