অধিকার
বনভূমিতে গারোদের অধিকার সংরক্ষণে কাজ করছে সরকার: উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বনভূমিতে গারোদের অধিকার সংরক্ষণে কাজ করছে সরকার।
তিনি বলেন, বনবাসীদের সঙ্গে বন বিভাগের দ্বন্দ্ব নিরসনে কাজ করা হবে। এলক্ষ্যে সামাজিক বনায়ন বিধিমালার প্রয়োজনীয় সংশোধনের কাজ চলছে।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজে গারো সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী ফসল কাটার উৎসব ‘ওয়ানগালা’ উদযাপন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ও পরিবেশ সুরক্ষায় নিরপেক্ষ-নির্ভীক সাংবাদিকতা অপরিহার্য: রিজওয়ানা হাসান
তিনি বলেন, বন নির্ভর জনগোষ্ঠীর ভূমির অধিকার, পানির অধিকার, যাতায়াতের অধিকার, গোচারণের অধিকার এবং বনজ দ্রব্য আহরণের অধিকার আইনগতভাবে নির্ধারণ করা হবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, গারোদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আদিবাসী পরিষদ কাজ শুরু করেছে। মধুপুর বনের বিরোধপূর্ণ সীমানা চিহ্নিত করতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় উন্নয়ন কার্যক্রমে বনবাসীদের বাইরে রেখে কিছু করা হবে না। বালু দস্যু ও পাথর খেকোদের বিরুদ্ধে ভূমি ও পানি মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করবে। সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বন রক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, ওয়ানগালা গারো সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বিশেষ প্রতীক। এটি আমাদের সমাজে সম্প্রীতির শক্তি বাড়ায়। ওয়ানগালা প্রকৃতি ও মানবসমাজের সম্পর্কের প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ফসল কাটার এই সময় প্রকৃতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মুহূর্ত। আমাদের সকলের উচিত পরিবেশ সুরক্ষায় গারোদের মত প্রাকৃতিক সম্পদের যত্ন নেওয়া।
অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা গারো সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য ও সংগীত উপভোগ করেন এবং প্রকাশিত বিশেষ ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করেন।
সীমান্ত চিসিম, নকমা, ঢাকা ওয়ানগালা ২০২৪-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনবিআর সদস্য ফজলুল হক, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য) নাফরিজা শায়মা, লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ, কবি ও গবেষক পরাগ রিচিল, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার মো. শাকির হোসেন, কারিতাস ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের পরিচালক থিওফিল নকরেক, উন্নয়ন গবেষক ড. বাপন মানখিন, বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ ড. মশিউর রহমান, দ্য ক্রিশ্চিয়ান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের সভাপতি হেমন্টো করায়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, সাংস্কৃতিক কর্মী এবং শিক্ষার্থীসহ গারো জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নদী-খাল দখলদারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের এখনই সময়: পরিবেশ উপদেষ্টা
১ মাস আগে
আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই; নিষিদ্ধ হওয়া উচিত: অলি আহমদ
লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি ড. কর্নেল (অব.) ওলি আহমদ বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত। জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে দেশের ১৮ কোটি মানুষের বিরুদ্ধে তাদের যে ভূমিকা ছিল, এরপর তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।
শনিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
অলি বলেন, ‘কেন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে না? আমরা আজ আবার বলেছি, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত কারণ তারা ১৮ কোটি মানুষের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল। তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।’
বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় যোগাযোগমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করা ওলি আহমদ বলেন, ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে পুলিশ ও প্রশাসনসহ সবকিছু ব্যবহার করেছে আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আ.লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত: অলি আহমদ
তিনি বলেন, সেনাবাহিনী ও কিছু পুলিশ প্রতিবাদ চলাকালে গুলি চালাতে অস্বীকৃতি জানানোয় তারা টিকতে পারেনি।
তার মতে, এই আন্দোলনে ১৫০০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণ গেছে এবং বহু মানুষ আহত হয়েছে।
ওলি বলেন, আজ তারা ২৩টি প্রস্তাব দিয়েছেন। এর মধ্যে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির সমাধানের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
গত ৫ অক্টোবর বিএনপি, জামায়াত, সিপিবিসহ কয়েকটি দলের অংশগ্রহণে শুরু হওয়া চলতি পর্বে এটি দ্বিতীয় সংলাপ।
গণফোরাম, লিবারেল ডেমোক্রেটস পার্টি (এলডিপি) ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (আন্দালিব) সহ ১৫টি রাজনৈতিক দলকে আজকের সংলাপে অংশ নিতে আমন্ত্রণ আজানো হয়েছে।
সংলাপের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সংস্কার কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে রাজনৈতিক দলগুলোকে জানানো এবং তাদের পরামর্শ নেওয়া।
এছাড়া রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয় গণফোরামের নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি বিকেল ৩টার দিকে যমুনায় প্রবেশ করে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার প্রধান মিত্র জাতীয় পার্টি (এরশাদ) ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে চলমান সংলাপে অংশ নেওয়ার সুযোগ ছিল প্রায় সব রাজনৈতিক দলের।
এদিকে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বেই নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার রাতে এক টিভি অনুষ্ঠানে দেওয়া তার বক্তব্যের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, 'এটা (নির্বাচনের সময়) ঘোষণা করার এখতিয়ার একমাত্র তারই আছে।’
তবে ২০২৫ সালের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন করা হতে পারে বলেও তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কর্নেল অলি আহমদের গাড়িতে ‘ছাত্রলীগের’ হামলা ?
১ মাস আগে
প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার-নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: খায়রুল কবির
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকন বলেছেন, ‘বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের পরিচয় আমরা সবাই বাংলাদেশি। তাই দলমত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকালে জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে সদর উপজেলা, নরসিংদী পৌর ও মাধবদী পৌর বিএনপির আয়োজনে অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে খায়রুল কবির খোকন এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনের রোডম্যাপ ও নতুন ইসি চায় বিএনপি
খায়রুল কবির খোকন বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসররা দেশে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে। এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে যাতে কোনো অপশক্তি ষড়যন্ত্র করতে না পারে এজন্য আমাদের দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে সতর্ক থাকতে হবে।’
নরসিংদীতে দুর্গাপূজা নিরাপদভাবে উদযাপন এবং সার্বিক সহযোগিতায় সনাতন ধর্মবলম্বীদের পূজামণ্ডপে আর্থিক অনুদান বিতরণ করেছে বিএনপি।
নরসিংদী-১ সংসদীয় আসনের ৮২টি পূজামণ্ডপ কমিটির সভাপতির হাতে ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে ৭ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান বিতরণ করেন।
জেলা পূজা উদযাপন মনিটরিং সেলের আহ্বায়ক এমএ জলিলেল সভাপতিত্বে আর্থিক অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেলের সদস্য সচিব আব্দুল বাছেদ ভূঁইয়া, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সালেহ চৌধুরী, নরসিংদী শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম কবীর কামাল, জেলা যুবদলের সভাপতি মহসীন হোসাইন বিদ্যুত।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপির সমাবেশে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫, বহিষ্কার ৪
২ মাস আগে
যারা দেশ বিক্রি করে তাদের রাজনীতি করার অধিকার বাংলাদেশে থাকবে না: জামায়াতের নায়েবে আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ ডক্তার আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, অনেকে বলে আওয়ামী লীগেরও রাজনীতি করার অধিকার আছে। অবশ্যই তাদের রাজনীতি করার অধিকার আছে।
জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, রাজনীতি করার অধিকার তাদেরই আছে যারা শুধু রাজনীতি করে। এছাড়া যারা দেশ বিক্রি করে দেয় তাদের রাজনীতি করার অধিকার বাংলাদেশ থাকবে না।
আরও পড়ুন: সালমান এফ রহমান একজন প্রসিদ্ধ ডাকাত: জামায়াতের নায়েবে আমির
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নজমিয়া কামিল মাদরাসা মাঠে সীরাতুন্নবী আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, যারা সন্ত্রাস করে, হত্যা করে, লুটপাট করে, দেশ বিক্রি করে দেয়, মানুষের সম্পদ খেয়ে ফেলে তারা কি রাজনীতিবিদ?
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ঘৃণা ও বিভাজনের রাজনীতির কবর দিন: জামায়াত আমির
এমন রাজনীতি করার অধিকার বাংলাদেশ আর কারো থাকবে না। আর যারা রাজনীতি করবেন প্রত্যেকেরই স্বাধীনতা আছে।
সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন মদিনাতুল উলুম কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস ড. আবুল কালাম আজাদ বাশার। উপজেলা জামায়াতের আমীর মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রিয় মজলিসে সূরা সদস্য অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূইয়া, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আমির আইনজীবী শাহজাহান।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বেশি সময় নেওয়া উচিত নয়: জামায়াত আমির
২ মাস আগে
প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রক্ষা করবে সরকার: প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ একটি বিশাল পরিবার, এখানে সরকারের দায়িত্ব প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রক্ষা করা।
সোমবার (২৬ আগস্ট) ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পুণ্যময় জন্মাষ্টমী উৎসব জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তিনি এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চান যেখানে সবাই নির্ভয়ে তাদের ধর্ম চর্চা করতে পারবে এবং যেখানে কোনো মন্দির পাহারা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।
রাষ্ট্রীয় অতিথি যমুনায় একদল হিন্দু নেতার উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব প্রতিটি নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের কাজ হচ্ছে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।’
আরও পড়ুন: বন্যা সংকটে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে মানুষের মধ্যে কোনো বিভেদ থাকতে পারে না। আমরা সমান নাগরিক। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রক্ষায় বদ্ধপরিকর।’
হিন্দু নেতারা শুভ অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, তারা দেশের সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধি এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদ চেয়েছেন।
হিন্দু নেতারা জানিয়েছেন, তারা দেশের বন্যাকবলিত অংশে জন্মাষ্টমী উদযাপন স্থগিত করেছেন এবং এই অঞ্চলে খাদ্য ও ত্রাণ পাঠিয়েছেন।
হিন্দু নেতারা পুরান ঢাকার পবিত্র মন্দির ঢাকেশ্বরী মন্দিরে প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রশংসা করে বলেন, এটি দেশে একটি অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠন এবং সমাজে ধর্মীয় সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।
হিন্দু মন্দিরের জমিসহ হিন্দুদের সম্পত্তি দখলের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তারা।
হিন্দু নেতাদের মধ্যে ছিলেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কাজল দেবনাথ ও মনিন্দ্র কুমার নাথ, ইসকনের চারু চরণ ব্রহ্মচারী, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের বাসুদেব ধর ও সন্তোষ শর্মা এবং ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রীতি চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন: বন্যাদুর্গতদের দুর্ভোগ লাঘবে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
৩ মাস আগে
সাম্প্রদায়িক সহিংসতা পরিহার ও সবার অধিকার রক্ষার আহ্বান ইইউ'র
বাংলাদেশে উপাসনালয় এবং ধর্মীয়, জাতিগত ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক হামলার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মিশন প্রধানরা।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ইইউ দূতাবাসের এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ মিশন প্রধানরা খুবই উদ্বিগ্ন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ভারত
তারা জরুরি ভিত্তিতে সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শন, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা পরিহার এবং সব বাংলাদেশির মৌলিক মানবাধিকার সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, সংখ্যালঘুদের রক্ষায় ছাত্র আন্দোলন ও অন্যান্যদের প্রচেষ্টাকে আমরা স্বাগত জানাই।
আরও পড়ুন: বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ
৪ মাস আগে
মৌলিক শিক্ষা অধিকার: প্রাথমিক থেকে নিম্ন-মাধ্যমিক স্তরে উত্তরণে কাজ করবে দুই মন্ত্রণালয়
মৌলিক ন্যূনতম শিক্ষা অধিকারের ধাপ প্রাথমিক থেকে নিম্ন-মাধ্যমিক স্তরে উত্তরণের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করবে।
রবিবার (৫ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক যৌথ সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে পুলিশের হামলার নিন্দা জবিরিইউর
বর্তমানে প্রাথমিক থেকে নিম্ন-মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি ও নানান আর্থ-সামাজিক কারণ ও প্রক্রিয়াগত কারণে শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়ে। এ হার রোধ করতে নিম্ন-মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষার ব্যয় নামমাত্র বা অবৈতনিক করতে শিক্ষানীতি ২০১০ এ বর্ণিত অঙ্গীকার বাস্তবায়নে আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় সম্মত হয়েছে দুই মন্ত্রণালয়।
এই লক্ষ্যে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের অবৈতনিক শিক্ষা তথা পাঠদান কার্যক্রম ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বিস্তৃত করবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিম্ন-মাধ্যমিক পর্যায়ে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা ব্যয় কমিয়ে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাবিতে নিয়মিত ২০ আসন বরাদ্দ
৭ মাস আগে
আইনগত সহায়তা পাওয়া করুণা নয় অধিকার: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আইনগত সহায়তা পাওয়া করুণা নয়, বরং এটা অধিকার। সমাজের দরিদ্র-অসহায় নাগরিকদের আইনগত সহায়তা পাওয়ার সঙ্গে দেশের আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও সামাজিক সমতা জড়িত।
আইনমন্ত্রী বলেন, আর্থিকভাবে অসচ্ছল যেকোনো নাগরিক আইনগত সহায়তা পাবেন, এটাই স্বাভাবিক। কারণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মূল সংবিধানেই গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সামাজিক সুবিচার ও সমতার বিধানাবলীসহ বিচার প্রক্রিয়ায় ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সব নাগরিকের প্রবেশাধিকারের বিধান সন্নিবেশ করে গেছেন।
রবিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ৬ দিনের থাইল্যান্ড সফর শেষে সোমবার দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী
এই অনুষ্ঠানে দুইজনকে সেরা লিগ্যাল এইড অফিসার ও প্যানেল আইনজীবী হিসেবে পুরস্কার দেওয়া হয়।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ ২১ বছর আর্থিকভাবে অসচ্ছল মানুষের আইনগত সহায়তা পাওয়ার অধিকারের প্রতি কেউ দৃষ্টি দেয়নি। ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি প্রথমবার সরকার গঠন করেই ২০০০ সালে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন' প্রণয়ন করেন। ফলে বাংলাদেশে প্রথম রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় অসচ্ছল ও সহায়-সম্বলহীন নাগরিকদের আইনগত অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হয়।
তিনি আরও বলেন, আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে আরও সফল ও বেগবান করে তুলতে হলে উপজেলা ও ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটিকে অধিকতর কার্যকর করতে হবে। কারাগারগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। আইন সহায়তা প্রদানকালে পুথিগত আইন প্রয়োগের দৃষ্টির পাশাপাশি সামাজিক ও মানবিক দৃষ্টিকোণকেও স্থান দেওয়া উচিত। পাশাপাশি আইনগত সহায়তার বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ স্বপ্রণোদিত, দ্রুত ও কার্যকর আইনিসেবা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে প্রত্যেক লিগ্যাল এইড কমিটি, লিগ্যাল এইড অফিসার ও প্যানেল আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
আনিসুল হক বলেন, ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতি’ বা এডিআর মামলাজট নিরসনের সহায়ক পন্থা হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। জার্মান সরকারের উন্নয়ন সংস্থা-জিআইজেডের এক সমীক্ষায় দেখা যায়, বাংলাদেশের ৮৭ ভাগ মানুষ স্থানীয় পর্যায়ে বিরোধ নিষ্পত্তিতে আগ্রহী এবং শতকরা ৩০ ভাগ নাগরিকের প্রাথমিক দ্বন্দ্বের কারণ প্রতিবেশীর সঙ্গে ছোটখাটো বিরোধ বা মারামারি, যা স্থানীয়ভাবেই নিষ্পত্তিযোগ্য। কিন্তু আমাদের স্থানীয় পর্যায়ে বিরোধ নিষ্পত্তির হার অতি নগণ্য। এর মূল কারণ সামাজিক পরিবর্তন, সামাজিক উন্নয়ন, মানুষের ব্যস্ততা এবং মধ্যস্থতাকারীর প্রতি আস্থার অভাব। একারণে আমরা ২০১৫ সালে "আইনি পরামর্শ ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি" বিধিমালা প্রণয়ন করেছি এবং এতে লিগ্যাল এইড অফিসারদের মধ্যস্থতা করার পর্যাপ্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, জুলাই, ২০১৫ থেকে মার্চ, ২০২৪ পর্যন্ত ১ লাখ ১০ হাজার ৮৩৬টি বিরোধ নিষ্পত্তি করেছেন লিগ্যাল এইড অফিসাররা। তারা যেহেতু বিচারক ও আইনি বিধিবিধানের অধীনে মধ্যস্থতা করে থাকেন, তাই লিগ্যাল এইড অফিসগুলো এখন বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিতে মানুষের আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। এ আস্থা আমাদের ধরে রাখতে হবে। এ আস্থা আমাদের আরও মজবুত করতে হবে।
আরও পড়ুন: রোগীর প্রতি চিকিৎসকের অবহেলা সহ্য করা হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
চট্টগ্রামে পরিবহন ধর্মঘট চলছে, চরম দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ
৭ মাস আগে
অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার ও মানবাধিকার নিশ্চিতে রাষ্ট্রকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে: ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, অভিবাসী কর্মীরা আমাদের সোনার সন্তান। অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার ও মানবাধিকার নিশ্চিতে রাষ্ট্রকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বৈদেশিক আয়ের ক্ষেত্রে অভিবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স সরাসরি রিজার্ভে যোগ হচ্ছে। প্রবাসী আয়ে অন্যান্য রপ্তানি খাতের মতো ওভার ইনভয়েসিং ও আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের সুযোগ নেই। প্রবাসীরা বঞ্চনা, হয়রানি, অপমান এমনকি অপমৃত্যুরও শিকার হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ইতালীয় উপকূলে অভিবাসী নৌকা বিধ্বস্তে নিহত ৬০
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) ঢাকার এফডিসিতে রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে অভিবাসী কর্মীদের মানবাধিকার নিশ্চিতকরণ নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত অভিবাসী কর্মীদের ন্যায্য অধিকার সুপ্রতিষ্ঠা হয়নি। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলো কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে পারছে না। নারী শ্রমিকদের প্রতি সহিংসতা ও হয়রানি প্রতিরোধে দূতাবাসগুলোকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।
আরও পড়ুন: অভিবাসী কর্মীদের শ্রমশক্তিতে পুনঃএকত্রীকরণে বাংলাদেশ ও আইএলও’র চুক্তি সই
তিনি আরও বলেন, প্রবাসে কারাগারে আটক বাংলাদেশিদের মুক্তির বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কাজ করছেন। সৌদি আরবে দুইজন অভিবাসী নিহত হওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশ দূতাবাস ও মানবাধিকার কমিশনের প্রচেষ্টায় রক্তপণ হিসেবে ৩০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, কাজ হারিয়ে যেসব অভিবাসী শ্রমিক দেশে ফিরেছে তাদের সামাজিক সুরক্ষা ও রি—ইন্টিগ্রেশনের উপর আরও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কর্মীর প্রেরণকারী রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে স্বচ্ছতা, জবাবদিহির মাধ্যমে নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালন
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, পরিবার পরিজন, আত্মীয়—স্বজন, বন্ধুবান্ধব ছেড়ে নানা প্রতিকূলতার মধ্যের আমাদের অভিবাসী কর্মীরা তাদের শ্রমে ঘামে উপার্জিত অর্থ দেশে পাঠিয়ে থাকেন।
তিনি আরও বলেন, যে রেমিট্যান্স যোদ্ধারা চলতি বছর ২৩ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠিয়েছেন, তাদের সামাজিক মর্যাদা ও স্বীকৃতি এখনো আমরা নিশ্চিত করতে পারিনি। সরকারের নীতি কৌশল, প্রবাসী আয়ে প্রণোদনা বৃদ্ধি ও ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পাঠানো প্রক্রিয়া সহজ করা হলে প্রতি বছর প্রবাসী আয় থেকে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ৩৫ থেকে ৪০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার দেশগুলো অভিবাসী শ্রমিকদের দুর্ভোগ নিয়ে প্রায়ই নীরব থাকে: শাহরিয়ার
হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, আমাদের জিডিপিতে প্রবাসী আয়ের অবদান ৫ দশমিক ২ শতাংশ অথচ নেপালের জিডিপিতে প্রবাসী আয় ২৭ শতাংশ কন্ট্রিবিউট করছে। শোভন কর্মপরিবেশের অভাব, ন্যায্য মজুরি না পাওয়া, অদক্ষতা, অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয় নিরাপদ অভিবাসনের বড় অন্তরায়। বিদেশ থেকে পাসপোর্ট বিহীন আউট পাস নিয়ে বিপুল সংখ্যক কর্মীরা দেশে আসার বিষয়টি উদ্বেগ তৈরি করেছে। কেন এসব কর্মীরা বিনা পাসপোর্টে আউট পাস নিয়ে দেশে ফিরে আসলো তা গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে খতিয়ে দেখা উচিৎ।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্য থেকে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরাতে এসওপি হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১১ মাস আগে
যারা ইসরায়েলের পক্ষ নিচ্ছে, তারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার অধিকার হারিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গাজায় নিরীহ নারী ও শিশুদের প্রতি যে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চলছে, একবিংশ শতাব্দীতে এসেও তা বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে।
তিনি বলেন, গাজায় এমন মানবিক বিপর্যয়েও যারা ইসরায়েলের পক্ষ নিচ্ছে, তারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার অধিকার হারিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নামক ‘কারাগারে’ বন্দি তাদের নেতারা: তথ্যমন্ত্রী
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদানের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমি আশা করব ফিলিস্তিনিদের এ আর্তনাদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ সবখানে পৌঁছাবে এবং অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি কার্যকর ও ফিলিস্তিনে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। আমাদের সরকার ও প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ছিলেন, আছেন ও থাকবেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আমার সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে। তিনি ফিলিস্তিনের প্রতি আমাদের অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আমি তাকে জানিয়েছি, প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনের পক্ষে বলেছেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে এ সমস্যা সমাধান হবে। আমরা ‘টু স্টেট’ পলিসিকে সমর্থন করি। ফিলিস্তিনে পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া এ সমস্যার সমাধান নেই।
ফিলিস্তিনে চলমান সংকট নিরসনে আরব বিশ্বের নেতাদের ভূমিকা নিয়ে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত হতাশা ব্যক্ত করেছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, চার হাজার কিলোমিটার দূরে থেকেও যেভাবে প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়িয়েছেন, সেজন্য রাষ্ট্রদূত তার প্রশংসা করেছেন।
বাংলাদেশের পার্লামেন্টের সংসদ নেতা হিসেবে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশেষ আলোচনার আয়োজন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷
একইসঙ্গে গাজায় যে হত্যাযজ্ঞ চলছে তার প্রতিবাদ করেছেন তিনি৷
আরও পড়ুন: দগ্ধ মানুষের আর্তনাদ কি বিএনপি-জামাতের কানে পৌঁছায় না: তথ্যমন্ত্রী
জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় সর্বজনীন আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
১ বছর আগে