নিহতরা হলেন- পারকোলা গুচ্ছগ্রামের মৃত চাঁদুর স্ত্রী কাজলী বেগম (৫৭) ও একই গ্রামের মৃত আনিছের স্ত্রী ছালেকা বেগম (৬০)।
আহতরা হলেন- একই গ্রামের মৃত আনিছের ছেলে আনছার (৩৮) ও হাফিজুল ইসলামের স্ত্রী মোছা. মুক্তা খাতুন (২৫)। তাদের উদ্ধার করে পোতাজিয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০২০ সালে সিলেট বিভাগে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৫০
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদ মাহমুদ জানান, পারকোলা গুচ্ছগ্রাম থেকে যাত্রী নিয়ে শাহজাদপুরে যাওয়ার পথে উল্লেখিত স্থানে সকাল ৯টার দিকে একটি মিনি ট্রাক ব্যাটারিচালিত অটোভ্যানটিকে পিছন থেকে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় অটোভ্যানটি দুমড়ে মুচড়ে গেলে দুজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
এদিকে, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
ওসি জানান, ট্রাকটি জব্দ করা হলেও চালক ও তার সহকারী পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে।
দেশের সড়ক দুর্ঘটনা পরিস্থিতি
দেশের সড়ক ও মহাসড়কে দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা গত নভেম্বরে কিছুটা বেড়েছে। মাসজুড়ে সংঘটিত ৪১৭ দুর্ঘটনায় ৪৩৯ জন নিহত এবং ৬৮২ জন আহত হয়েছেন।
নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করা রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নামে এক সংস্থার ৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত নতুন প্রতিবেদনে এ পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নভেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনার নিহত ৪৩৯: প্রতিবেদন
মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ছয়জনসহ নিহত ৭
সংস্থাটির তথ্যমতে, গত অক্টোবর মাসে ৩১৪ দুর্ঘটনায় ৩৮৩ জন নিহত হন।
গত নভেম্বর মাসে এককভাবে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। এ ধরনের ১২৮টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৪১ জন। যা মোট নিহতের ৩২.১১ শতাংশ। আর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা মোট ঘটনার ৩০.৬৯ শতাংশ।
প্রতিবেদনে দেয়া তথ্যমতে, দুর্ঘটনায় ১১৬ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২৬.৪২ শতাংশ। আর যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৪৯ জন, যা মোট নিহতের ১১.১৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন:তিন জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ীসহ নিহত ৩
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। রাজধানীতে ১১১ দুর্ঘটনায় ১২৮ জন নিহত হয়েছেন। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২২ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৪ জন।
দেশে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে ১০ বিষয়ের কথা উল্লেখ করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। এগুলো হলো- ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, নির্দিষ্ট বেতন ও কর্মঘণ্টা না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, তরুণ ও যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহণ খাতে চাঁদাবাজি।
সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।