বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ডাকা 'অসহযোগ আন্দোলনের' মধ্যে সিরাজগঞ্জে বিক্ষোভকারী, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া জেলায় দুই সংসদ সদস্যের বাড়িঘর ও থানায় ভবনে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
ইউএনবির স্থানীয় প্রতিনিধি জানিয়েছেন, তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। নিহতদের মরদেহ নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে পুলিশ-আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ১
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষোভকারীরা প্রথমে সদর উপজেলার এসএস রোডে জড়ো হন এবং পরে বেলা ১১টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা চালান।
এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভকারীদের প্রতিহত করতে গেলে সংঘর্ষ বাধে।
এ সময় ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয় বলে জানান স্থানীয় প্রতিনিধি।
এর পরপরই সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে, এতে আরও তিনজন নিহত ও অনেকে আহত হন।
সিরাজগঞ্জ-২ ও ৬ আসনে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাত ও মেরিনা জাহানের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এ সময় জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলার সহকারী কমিশনারের (এসিল্যান্ড) কার্যালয়ও ভাঙচুর করা হয়।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা ও কয়েকটি পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা হয়। পাশাপাশি বেলকুচি থানা ঘেরাও করেন বিক্ষোভকারীরা।
বিকেল ৩টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ রাস্তা ছেড়ে দিয়ে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: আন্দোলনে গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিট খারিজ