সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে দুপুর ১২টা থেকে এই টেস্ট শুরু হয়েছে। এর জন্য কোনো ধরনের ফি নেয়া হচ্ছে না। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন এই পদ্ধতিতে পরীক্ষার মাধ্যমে মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে ফলাফল পাওয়া যাবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সিলেটসহ দেশের দশ জেলা টেস্ট শুরু হলেও পর্যায়ক্রমে অন্যান্য জেলাগুলোতেও এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা শুরু হবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যাদের মধ্যে তিনদিন বা এর বেশি সময় ধরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ আছে, শুধুমাত্র তাদের নমুনা সংগ্রহ করে অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে। তবে কোনো উপসর্গ নেই, তাদের নমুনা আরটি-পিসিআর ল্যাবেই পরীক্ষা করা হবে।
এ বিষয়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, ‘শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে আজ (শনিবার)অ্যান্টিজেন টেস্ট। এর মাধ্যমে আধাঘন্টার মধ্যে আমরা কেউ আক্রান্ত কী-না, তা জানতে পারবো। যাদের শরীরে তিনদিন ধরে করোনার উপসর্গ (জ্বর, সর্দি, কাঁশি ইত্যাদি) আছে, তাদেরকে অ্যান্টিজেন টেস্টের আওতায় আনা হবে।’
আরও পড়ুন: টিকা পাওয়াসহ বাংলাদেশের এখন আরও অনেক চ্যালেঞ্জ আছে: ডা. ফ্রিডম্যান
ডা. হিমাংশু আরও বলেন, ‘অ্যান্টিজেন টেস্টের জন্য আমরা ন্যাসাল সোয়াব (নাকের ভেতর থেকে নমুনা) নেব। প্রত্যেকের দুটি করে স্যাম্পল নেয়া হবে। অ্যান্টিজেন টেস্টে কেউ পজিটিভ হলে তাকে জানিয়ে দেয়া হবে। আর কেউ নেগেটিভ হলে অধিকতর নিশ্চিতের জন্য আরেকটি নমুনা পরীক্ষা করা হবে আরটি-পিসিআর ল্যাবে।’
অ্যান্টিজেন টেস্টের জন্য সরকার কোনো ফি নির্ধারণ না করায় এটি বিনামূল্যে করা হবে বলেও জানান তিনি।
অ্যান্টিজেন টেস্টের জন্য সিলেটে আপাতত ৫০০ কিট রয়েছে এবং এগুলো শেষ হওয়ার আগেই আরও কিট পাওয়া যাবে বলে জানান বলে জানান ডা. হিমাংশু লাল রায়।
উল্লেখ্য, অ্যান্টিজেন টেস্টের জন্য সংশ্লিষ্ট দশটি জেলার চিকিৎসক, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও পরিসংখ্যানবিদদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা কেন্দ্র (আইইডিসিআর)।