সিলেটের শাহপরাণ এলাকায় দুপক্ষের সংঘর্ষে বিলাল আহমদ মুন্সী নামে এক যুবদলকর্মী নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত বিলাল শাহপরাণের বাহুবল আবাসিক এলাকার বাসিন্দা এবং পেশায় রঙ মিস্ত্রী ছিলেন। তিনি স্থানীয় যুবদলের কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বাহুবল এলাকার স্কুলছাত্র সাকের ও রাশেদের মধ্যে সিনিয়র ও জুনিয়র দ্বন্দ্বে বেশ কয়েকদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
বিষয়টি নিয়ে এলাকায় সালিশ-বৈঠকও হয়, কিন্তু পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। এর জেরে সাকেরের পক্ষ নেন যুবদল-ছাত্রদলের কিছু নেতাকর্মী।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিহত
সোমবার যুবদলের কয়েকজন নেতাকর্মী বাহুবল এলাকায় গিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ালে অস্ত্রের আঘাতে বিলাল আহত হন। পরে তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে বিলালের লাশ নিয়ে সিলেট-তামাবিল সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে শাহপরাণ মাজার গেটে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এতে স্থানীয় সাধারণ মানুষ ও যুবদল নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তারা অবিলম্বে বিলালের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। পরে পুলিশের আশ্বাসে আধঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, নিহত বিলালের হাতের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
ময়নাতদন্তের পর মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে বিলালের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে শাহপরাণ বাজারে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহজনক ৬ জনকে আটক করেছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৬ যাত্রী নিহত