সোমবার বিকালে সিলেটের অতিরিক্ত মূখ্য মহানগর আদালতে বিচারক মো. জিহাদুর রহমানের আদালতে পুলিশ কনস্টেবল দেলোয়ার, সাইদুর ও শামীম ১৬৪ ধারায় এ সাক্ষ্য প্রদান করেন।
জবানবন্দি দেয়া তিনজনই সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে কর্মরত রয়েছেন। রায়হানকে নির্যাতনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে এই তিন কনস্টেবল আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম তিন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের তথ্য নিশ্চিত করলেও তারা আদালতে কি বলেছেন এবং কারো নাম বলেছেন কী না এ ব্যাপারে কিছু জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর ভোরে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন রায়হান আহমদ (৩৪) নামের এক যুবক। পরে রবিবার সকালে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে তিনি মারা যান।
রায়হান সিলেট নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি নগরীর রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম মার্কেটে এক চিকিৎসকের চেম্বারে কাজ করতেন।
এই ঘটনায় ১২ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে পুলিশী হেফাজতে মৃত্যু আইনে সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী।
এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে রায়হানকে ফাঁড়িতে এনে নির্যাতনের প্রাথমিক প্রমাণ পায় কমিটি। এই তদন্ত কমিটির সুপারিশে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূইয়া, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটুচন্দ্র দাসকে সাময়িক বরখাস্ত এবং এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। মামলার প্রধান অভিযুক্ত এসআই আকবর পলাতক রয়েছেন বলে দাবি পুলিশের।