তারা হলেন- কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সৌমেন মৈত্র ও রায়হান হত্যা মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল বাতেন।
বুধবার দুজনকে সাময়িক বহিষ্কারের কথা গণমাধ্যমকে জানান সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের।
তিনি বলেন, আকবরকে পালাতে কারা সহযোগিতা করেছেন তাদের খুঁজে বের করতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির সুপারিশে গত ১৮ নভেম্বর এ দুজনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
এর আগে, একই অভিযোগে বন্দরবাজার ফাঁড়ির এসআই হাসানকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর সকালে নগরীর আখালিয়া বাসিন্দা রায়হান আহমদ (৩৪) মারা যান। বন্দরবাজার ফাঁড়িতে ধরে এনে নির্যাতন চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। ওই রাতেই হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী তামান্না আক্তার।
মামলার পর মহানগর পুলিশের একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে নির্যাতনের সত্যতা পেয়ে ওই ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূইয়াসহ চারজনকে ১২ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। ১৩ অক্টোবর আকবর পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়ে যান বন্দরবাজার থানার ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা আকবর হোসেন ভূইয়া।
পরে গত ৯ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত থেকে আকবর হোসেন ভূইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভারতে পালানোর সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ দাবি করে।
যদিও সীমান্তবর্তী এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আকবরকে কানাইঘাটের ডোনা সীমান্তের ওপারে খাসিয়া পল্লির বাসিন্দারা আটক করে বাংলাদেশে পাঠালে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
আকবর পালানোর পর থেকেই তাকে পালাতে কারা সহযোগিতা করেছেন তাদের চিহ্নিত করার দাবি ওঠে। ধরা পরার পর আকবরও জনতার কাছে বলেছেন, দুই সিনিয়র কর্মকর্তার পরামর্শে তিনি পালিয়ে যান।
গ্রেপ্তারের পর আকবরকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন। রিমান্ড শেষে ১৭ নভেম্বর আকবরকে আদালতে হাজির করা হলেও তিনি স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেননি।
এর আগে এই ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য এএসআই আশেক এলাহি, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস এবং হারুনুর রশীদকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয় পিবিআই। তবে রিমান্ড শেষে তারাও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।