জেলার ছাতক, দোয়ারাবাজার, তাহিরপর, বিশ্বম্ভরপুর, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, দিরাই ও শাল্লা উপজেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি বাড়তে থাকায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সোমবার সকাল ৯টায় শহরের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও রবিবারের চেয়ে তা ১১ সেন্টিমিটার কম। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে, শহরের কাজির পয়েন্ট, উকিলপাড়া, নতুনপাড়া, বড়পাড়া, সাহেববাড়ি ঘাট, ষোলঘর হাজিপাড়া, জামতলাসহ অধিকাংশ এলাকার বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করায় দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষজন। ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াও জমির ফসল নষ্ট হওয়া, পুকুরের মাছ ভেসে যাওয়াসহ নানাবিধ সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয়রা।
জেলা শহরের সাথে বিশ্বম্ভরপুর, তাহিপুর, দিরাই ও শাল্লার একমাত্র সড়কগুলোতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, গত ২৭ জুন থেকে বন্যা শুরুর পর সরকারিভাবে বন্যার্তদের জন্য ৮৫৫ মেট্রিক টন চাল, নগদ ৪৭ লাখ ৭৪ হাজার টাকাসহ নানাবিধ সহায়তা প্রতিটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে ৮৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে ২২৯৭টি পরিবারকে এবং দুই হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট মজুদ রয়েছে।
জেলায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলার পর রবিবার বিকাল থেকে জেলা শহরের সরকারি কলেজে ও কুরবান নগর ইউনিয়নে বন্যার্তরা আশ্রয় নিয়েছেন এবং তাদের মাঝে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে শুকনো খাবার প্রদান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ।