র্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর সজিবুল ইসলামের ভাষ্য, সাগরে মাছ আহরণের নিষেধাজ্ঞা ২৩ জুলাই প্রত্যাহার হয়। সেজন্য ইলিশ মৌসুমে সাগরের ওপর নির্ভরশীল জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাব সুন্দরবন ও সাগরে টহল জোরদার করে। নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে র্যাবের একটি দল সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জোংড়ার খাল এলাকায় যায়। এ সময় বনদস্যুরা র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রথমে গুলিবর্ষণ শুরু করে। আত্মরক্ষার্থে র্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়।
র্যাবের ওই কর্মকর্তার দাবি, রাত সাড়ে ৩টা থেকে ভোর প্রায় ৭টা পর্যন্ত থেমে থেমে উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়। এক পর্যায়ে বনদস্যুরা বনের গহীনে পালিয়ে যায়। পরে র্যাব সদস্যরা জোংড়ার খাল এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে দুজনের গুলিবিদ্ধ লাশ এবং বেশ কয়েকটি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, সকালে নদীতে থাকা জেলেরা দুজনের একজন খালেক বাহিনীর প্রধান ও অপরজন তার সেকেন্ড ইন কমান্ড বেল্লাল বলে শনাক্ত করেন।
র্যাবের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ২০১৮ সালে খালেক নামে এক ব্যক্তি ৫/৬ জন সহযোগীকে নিয়ে নিজ নামে বাহিনী গড়ে তোলেন। সাগর ও সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল জেলে, বাওয়ালি ও মৌয়ালদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়সহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে খালেক বাহিনী।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণার পরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে দফায় দফায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’বেশ কয়েকজন বনদস্যু নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার দুজন ছাড়াও এর আগে গত ২৯ মে চারজন, ৬ মে তিনজন এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি চারজন বনদস্যু র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়।