বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ইটভাটা মালিক সমিতির আহ্বানে এই কর্মসূচিতে জেলার ৯৬ ইটভাটার প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকল বন্ধের পরিকল্পনার প্রতিবাদে কেরু চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ
পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল থেকে ইটভাটা শ্রমিকরা শহরের টাউন ফুটবল মাঠে সমাবেত হতে থাকেন। পরে সেখান থেকে ১১টার দিকে বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে শ্রমিকরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পরে মিছিল সহকারে শ্রমিকরা শহীদ আবুল কাশেম সড়ক হয়ে হাসান চত্বরে এসে মানববন্ধন করে।
হাজার হাজার শ্রমিক ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তার ওপর বসে পড়লে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা-যশোর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে কম্বলের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
সমাবেশে এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য চুয়াডাঙ্গা জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব বলেন, ‘সরকারি সকল নিদের্শনা ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সকল নিয়ম-নীতি মেনে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে আমরা ব্যবসা করে আসছি। আমাদের জেলাতে এ ইটভাটা শিল্পে প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। অথচ ২০১৩ সালের বিদ্যমান আইনের ৮(ঙ) ধারায় পরিবেশ অধিদপ্তর দফায় দফায় ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে লাখ লাখ টাকা জরিমানা করছে, মামলা করছে। কোনো কোনো সময় বুলড্রোজার দিয়ে ভাটায় রক্ষিত কাঁচা ইট ভেঙে গুড়িয়ে দিচ্ছে। এতে করে অনেকে বিনিয়োগ হারিয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে সংসদ সচিবালয় ফোরামের মানববন্ধন
সমিতির নির্বাহী কমিটির সদস্য আরেফিন আলম রঞ্জু বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তরের নিদের্শনা মেনে আমরা ভাটা ১২০ ফুট উচ্চতার চিমনি বাদ দিয়ে জিগজ্যাগ ও হাইব্রিড কিলন প্রযুক্তিতে রূপান্তরিত করেছি। ইতোমধ্যে আমাদের জেলাতে ৮০ শতাংশ ইটভাটা নতুন প্রযুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু এরপরও পরিবেশ অধিদপ্তরের ৮(ঙ) ধারায় দফায় দফায় আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে, লাখ লাখ টাকা জরিমানা করা হচ্ছে।’
অবিলম্বে তারা ২০১৩ সালের পরিবেশ অধিদপ্তরের ৮(ঙ) ধারা বাতিলের দাবি জানান।
আরও পড়ুন: যুক্তরোষ্ট্রে পারিবারিক ইমিগ্রেশন ভিসা চালুর দাবিতে সিলেটে মানববন্ধন
বিদ্যমান ওই আইনে বলা হয়েছে, কোনো স্থাপনা, রেলপথ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লিনিক বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানসহ তেমন কোনো প্রতিষ্ঠান থাকলে তার এক কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি বজলুর রহমান, সহ-সভাপতি ইকবাল মাহমুদ টিটু, কেষাধ্যক্ষ আবিদ উদ দৌলা কেবল ও নির্বাহী কমিটির সদস্য নাসির উদ্দীন খাঁজা।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে নড়াইলে শিক্ষকদের মানববন্ধন
মানববন্ধন শেষে আবারও বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শ্রমিকরা চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান। সেখানে ইটভাটা মালিক ও শ্রমিক নেতারা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্বারকলিপি জমা দেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে নড়াইলে শিক্ষকদের মানববন্ধন