১১৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকালে নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের হাতে ক্রেস্ট, সম্মাননা ও সম্মানির টাকা তুলে দেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস: বঙ্গভবনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ও নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিতে পেরে আমি আনন্দিত। বঙ্গবন্ধুর ডাকে যাদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছি তাদের অনেকেই আর বেঁচে নেই। আমিসহ আমার সহযোদ্ধারা জীবনের শেষপ্রান্তে। আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের শপথ হওয়া উচিত আমৃত্যু তরুণদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, ঐতিহ্য, চেতনা, আদর্শকে তুলে ধরতে কাজ করা।
মেয়র বলেন, মানুষের মুক্তির যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা যুদ্ধ করেছি তা বাস্তবায়নে তরুণদের প্রস্তুত করতে হবে। সোনার বাংলা গড়ার অভিযাত্রায় পাড়ি দিতে হবে আরও বহুদূরের পথ।
তিনি বলেন, এ দায়িত্বটা তরুণদেরই নিতে হবে। কারণ তরুণরা যা পারে অন্যরা তা পারেনা। মুক্তিযুদ্ধেও সম্মুখ সারির লড়াইয়ে ছিলেন মূলত তরুণরাই।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা ইউএলএফ’র
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করা ভারতের ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আমি আনন্দিত। চিকিৎসাসহ যেকোনো প্রয়োজনে মুক্তিযোদ্ধাদের ভিসা ও সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিশ্বে মডেলে পরিণত হয়েছে। ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরও দৃঢ়তর হবে বলে আমার বিশ্বাস।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা গবেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সরোয়ার কামাল।
আরও বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, সমাজকল্যাণ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি আবদুস সালাম মাসুম, কাউন্সিলর নুরুল আমিন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মস্কোতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সংবর্ধনা সভার আয়োজন