তিনি সদর উপজেলার রুপার বাজার এলাকার শোলাগাড়ী গ্রামের শাজাহান মিয়ার স্ত্রী।
শাজাহান জানান, স্থানীয় মাতৃসদনে অন্তঃসত্ত্বা আমেনাকে জানানো হয় যে পেটের সন্তান উল্টো অবস্থায় রয়েছে। সে কারণে তাকে সিজারিয়ান (অস্ত্রোপচার) করতে হবে। পরে প্রসব বেদনা হলে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক জাকির হোসেনের পরামর্শে ১৩ সেপ্টেম্বর আমেনাকে গাইবান্ধা শহরের যমুনা ক্লিনিকে নিয়ে আসেন শাজাহান। সেখানে সিজারিয়ানে আমেনার নবজাতকের জন্ম হয়।
আমেনার অবস্থার উন্নতি হলে ১৭ তারিখে তাকে ক্লিনিক থেকে রিলিজ করা হয়। বিল আসে ১৬ হাজার টাকা। কিন্তু এ টাকা পরিশোধ নিয়ে বেকায়দায় পড়েন শাজাহান-আমেনা দম্পতি। অবশেষে নবজাতককে সাদুল্লাপুরের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে তারা ক্লিনিকের বিল পরিশোধ করেন এবং বাড়ি ফেরেন খালি হাতে।
শাজাহান বলেন, তিনি অভাবে পড়ে নবজাতককে অন্যের হাতে তুলে দিয়েছেন। তবে যার হাতে তুলে দিয়েছেন তার নাম বলতে রাজি হননি।
এ ব্যাপারে ক্লিনিকের মালিক ফরিদুল হক সোহেল বলেন, ‘রিলিজের সময় আমাদের খাতায় ৯ হাজার টাকা জমা দিয়েছে। নবজাতক বিক্রির ঘটনা ক্লিনিক ক্যাম্পাসে হয়নি। যদি হয়ে থাকে তাহলে বাইরে হয়েছে।’